শুক্রবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের সভায় বিক্ষোভ। - নিজস্ব চিত্র
তৃণমূল সমর্থকদের প্রবল রোষের মুখে মাঝ পথে বক্তব্যে ইতি টানতে হল হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান শ্যামল আদককে। নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত শ্যামল শুক্রবার সমর্থকদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়ে মঞ্চ ছেড়ে চলে যান।
সভায় বাকিদের বক্তব্যের সময়ে কোনও গোলমাল না হলেও শ্যামল বক্তব্য শুরু করতেই ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায় সমর্থকদের মধ্যে। অনেকে ‘চোর, চোর’ বলে চিৎকার জুড়ে দেয়। এর জেরে মাঝ পথেই বক্তব্য বন্ধ করতে হয় শ্যামলকে। অনেক অনুরোধ উপরোধেও কর্মী, সমর্থকদের শান্ত করতে না পারায় শেষ পর্যন্ত সভা ছেড়ে চলে যান তিনি।
শুক্রবার সন্ধায় হলদিয়াতে বঙ্গধ্বনি সভা করে তৃণমূল। যেখানে গোষ্ঠী কোন্দল ভুলে হলদিয়া ও সুতাহাটার তৃণমূল নেতাদের পাশাপাশি সম্প্রতি নিজেদের ‘দাদার অনুগামী’ হিসেবে দাবি করা নেতা, সমর্থকরাও হাজির ছিলেন। প্রথমে সুতাহাটার সুবর্ণজয়ন্তী ভবন থেকে মঞ্জুশ্রী মোড় পর্যন্ত একটি মিছিল হয়। সেই মিছিলে সমর্থকদের ভিড়ও ছিল নজরকাড়া। এর পর মঞ্জুশ্রী মোড়ে শুরু হয় সভা। সেখানে ছিলেন হলদিয়া শহর তৃণমূলের সভাপতি সুধাংশু মণ্ডল, সহ-সভাপতি দেবপ্রসাদ মণ্ডল, যুব তৃণমূলের সভাপতি শেখ আজগর, পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল স্বপন নস্কর, তৃণমূল নেতা পার্থ বটব্যাল-সহ অনেকে। কয়েক জন নেতা বক্তব্য শেষ করার পর মাইক হাতে নেন শ্যামল। আর তখনই সমর্থকদের শোরগোল শুরু হয়। চিৎকার শুরু হয়। সেই সঙ্গে কেউ বিজেপিকে, কেউ দাদার অনুগামীদের বিরুদ্ধে গালিগালাজ শুরু করেন। এমন চিৎকার শুরু হয় যে, শ্যামল তাঁর বক্তব্য থামিয়ে দেন।
সেই সময় মঞ্চে থাকা নেতানেত্রীরা সমর্থকদের শান্ত করার অনেক চেষ্টা করলেও তাতে কাজ হয়নি। শেষে মঞ্চ থেকে নেমে যান শ্যামল। যদিও এর পরে সভায় একাধিক নেতা বক্তব্য রাখেন। শ্যামল চলে যেতেই গোলমালও থেমে যায়।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে হলদিয়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা বর্তমান কাউন্সিলর এবং হলদিয়া টাউন তৃণমূলের সহ-সভাপতি দেবপ্রসাদ মণ্ডল বলেন, ‘‘শ্যামলবাবু বক্তব্য শুরু করতেই দলীয় সমর্থকরা ব্যাপক শোরগোল জুড়ে দেন। যার জেরে শ্যামলবাবু ২ মিনিট বক্তব্য রাখার পরেই নেমে যান। এর পর যথা রীতি সভা চলেছে।’’