অভিযোগ লিখছেন চক্রধর মেইকাপ। নিজস্ব চিত্র।
একেক পর্বে ভোট মিটছে, আর তার পরই জোট সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ উঠছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলছে জোটও।
এ বার সেই বাধার অভিযোগ কাঁথিতেও। বুধবার প্রচারে গিয়েই তৃণমূল সমর্থকদের সেই বাধার মুখেই পড়লেন উত্তর কাঁথি কেন্দ্রের জোট প্রার্থী তথা রাজ্যের প্রাক্তন কারিগরী শিক্ষামন্ত্রী চক্রধর মেইকাপ। এমনকী বাধ্য হয়ে প্রচার বাকি রেখেই ফিরে আসতে বাধ্য হন তিনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে কুমিরদা অঞ্চলের শুকুনিয়া থেকে বাড়ি বাড়ি প্রচার শুরু করেন চক্রধরবাবু। পৌনে বারোটা নাগাদ তিনি সরপাই গ্রামে পৌঁছান। সেখানে প্রচার শুরু করতেই তাপস বেজ নামে স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মীর নেতৃত্বে চারটি মোটরবাইকে চেপে ঘটনাস্থলে হাজির হয় আটজন।
চক্রধরবাবুর অভিযোগ, ‘‘আমাকে গালিগালাজ করা ছাড়াও বলা হয়, সরপাই এলাকায় সিপিএমের কোনও প্রচার করা যাবে না। এমনকী যাঁর বাড়িতে প্রচার করছিলাম, তাঁকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।’’ এমনকী তারা চক্রধরবাবুকে ওই এলাকা ছাড়ার জন্যও মারমুখী হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ফিরে আসতে বাধ্য হন তিনি। মারিশদা থানায় তাপস বেজ-সহ ৬ তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
তাহলে কি পূর্বে জোটকে ভয় পাচ্ছে শাসকদল? চক্রধরবাবুর কথায়, ‘‘উত্তর কাঁথির ভাজাচাউলি ও কুমিরদা অঞ্চল জুড়ে দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল সন্ত্রাস চালাচ্ছে। তৃণমূল ভয় পেয়েই এমন করছে। আমরা আবার প্রচারে যাব। দেখি ওরা কি করে।”
অভিযোগ অস্বীকার করে কাঁথি-৩ পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সভাপতি বিকাশ বেজ বলেন, ‘‘বুধবার দুপুরে এমন ঘটনা ঘটেনি। মানুষের জনসমর্থন নেই বুঝতে পেরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অসত্য ও মনগড়া অভিযোগ করে প্রচারের আলোকে আসতে চাইছেন চক্রধরবাবু।”