পরীক্ষা: বিজ্ঞানের খঁুটিনাটি শিখছেন পড়ুয়ারা। —নিজস্ব চিত্র।
পঁচিশে পা দিল মেদিনীপুর কলেজের ‘সেন্টার ফর সায়েন্টিফিক কালচার (সিএসসি)। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও উত্তর-পূর্ব ভারতের একাধিক স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যা বিষয়ক বিভিন্ন কর্মশালা করে এই কেন্দ্র। সাধারণ মানুষ থেকে বিজ্ঞানের ছাত্রছাত্রীরা এখানে নিখরচায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারেন। সিএসসি-র কার্যকরী সভাপতি অধ্যাপক সুভাষচন্দ্র সামন্ত বলেন, ‘‘সারা দেশে চারটি কেন্দ্র খোলার কথা হলেও মেদিনীপুর কলেজ ও নাগপুরে তা শুরু হয়েছিল। পরে নাগপুরের কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যায়। এখন শুধু মেদিনীপুর কলেজেই কেন্দ্রটি চলছে।’’
১৯৯২ সালে ‘ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অফ ফিজিক্স টিচার্স’ (আইএপিটি) এই কেন্দ্র তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছিল। সেই মতো ১৯৯৩ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি মেদিনীপুর কলেজে সিএসসি-র প্রতিষ্ঠা করেন আইএপিটি- এর প্রতিষ্ঠাতা পদার্থবিজ্ঞানী তথা স্বাধীনতা সংগ্রামী দ্বারকা প্রসাদ খন্ডেলবাল। মানব সম্পদ মন্ত্রকের বরাদ্দ আড়াই লক্ষ টাকা পুঁজি নিয়ে শুরু হয় পথ চলা। রাজস্থানের ‘ইউনিভার্সিটি সেন্টার ফর ডেভলপমেন্ট অফ ফিজিক্স এডুকেশন’, খড়্গপুর আইআইটি ও মেদিনীপুর কলেজ নানা যন্ত্রপাতি দিয়ে কেন্দ্রটিকে সমৃদ্ধ করে। এই কেন্দ্রের সহায়তায় ২০১১ সালে সর্বশিক্ষা অভিযানের আর্থিক অনুদানে প্রায় পঞ্চাশটি বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা হাতেকলমে নানা কাজ শিখেছে। ২০১৪ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা সরকারের আর্থিক সহায়তায় বহু বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান কর্মশালা করেছে সিএসসি।
২০১৪-তে বেঙ্গালুরুর ‘ইন্ডিয়ান অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্স’-এর সহায়তায় কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের ১৪ দিনের জাতীয় স্তরের রিফ্রেশার্স কোর্সও করিয়েছে এই কেন্দ্র। বর্তমানে খড়গপুর আইআইটি-র ‘সেন্টার ফর এডুকেশন টেকনোলজি’ (সিইটি) বিভিন্ন স্তরে বিজ্ঞান-সহ নানা বিষয়ে পঠনপাঠনে কীভাবে আরও বেশি করে প্রযুক্তির ব্যবহার করা যায় তার চেষ্টা চালাচ্ছে। সিএসসি এই কাজে সাহায্য করছে। ভবিষ্যতেও বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসারে কেন্দ্র কাজ করবে বলে জানান সিএসসি-র কার্যকরী সভাপতি সুভাষবাবু।