লালগড়ে সমবায় ভোট

বৈঠকে প্রার্থী বাছার পরেও কোন্দল কাঁটা

যুযুধান দু’পক্ষের থেকেই প্রতিনিধি বেছে নিয়ে তৈরি হল ছ’জনের প্রার্থী তালিকা। তবু কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির ভোটকে ঘিরে খাস লালগড়ের কাঁটাপাহাড়িতে তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ অসন্তোষ পুরোপুরি কাটল না। এক পক্ষ খুশি হলেও অন্য পক্ষের দাবি, ছ’জনের প্রার্থী তালিকায় তাদের শিবিরের প্রতিনিধি দুই, অন্য গোষ্ঠীর চার জন।

Advertisement

সুরবেক বিশ্বাস

শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০০:০০
Share:

যুযুধান দু’পক্ষের থেকেই প্রতিনিধি বেছে নিয়ে তৈরি হল ছ’জনের প্রার্থী তালিকা। তবু কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির ভোটকে ঘিরে খাস লালগড়ের কাঁটাপাহাড়িতে তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ অসন্তোষ পুরোপুরি কাটল না। এক পক্ষ খুশি হলেও অন্য পক্ষের দাবি, ছ’জনের প্রার্থী তালিকায় তাদের শিবিরের প্রতিনিধি দুই, অন্য গোষ্ঠীর চার জন।

Advertisement

মঙ্গলবার লোধাশুলিতে এক জরুরি বৈঠকে জেলা নেতৃত্বের সমাধানসূত্রে দু’পক্ষই লিখিত ভাবে সম্মতি দিয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। শাসক দলের জেলা নেতৃত্ব অবশ্য প্রার্থী তালিকায় একটি গোষ্ঠীর পাল্লা ভারী হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে নিচ্ছেন। এ দিন বৈঠকের মধ্যেই দু’পক্ষের সমর্থকেরা একে অপরকে হুমকি, পাল্টা হুমকি দেন। হাতাহাতি বাঁধারও উপক্রম হয়।

পশ্চিম মেদিনীপুরের কাঁটাপাহাড়ি কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির পরিচালন কমিটির ভোট আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি। দলের দু’টি শিবির পৃথক প্রার্থী তালিকা তৈরি করে পোস্টার, ব্যানার দিয়ে প্রচার শুরু করেছিল। একটি শিবিরের নেতৃত্বে দলের লালগড় ব্লক সভাপতি বনবিহারী রায়, অন্যটির নেতা ব্লক যুব সভাপতি তন্ময় রায়। ওই খবর সোমবার আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সী জেলা নেতৃত্বকে অবিলম্বে বিষয়টি মিটিয়ে নিতে নির্দেশ দেন। এ দিন লোধাশুলিতে বৈঠক ডাকেন ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী চূড়ামণি মাহাতো।

Advertisement

চূড়ামণিবাবু স্বীকার করে নিচ্ছেন, চূড়ান্ত হওয়া ছ’জনের প্রার্থী তালিকায় তন্ময় শিবিরের চার জন ও বনবিহারী শিবিরের দু’জন। তাঁর কথায়, ‘‘নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে, কাঁটাপাহাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দলের সবাইকে ডেকে বৈঠক করে তন্ময়রা প্রার্থী তালিকা তৈরি করেন। বনবিহারীবাবু হাতে গোনা কয়েকজনকে নিয়ে ঘরে বসে তালিকা বানিয়েছিলেন।’’

যদিও বনবিহারী রায়ের দাবি, ‘‘ব্লক সভাপতি হিসেবে আমি যে প্রার্থী তালিকা তৈরি করি, তাতে তো চূড়ামণিবাবুই সিলমোহর দিয়েছিলেন। যা-ই হোক, দলের সম্মান রক্ষায় চুপচাপ সই করে দিয়েছি।’’ আর তন্ময় রায়ের বক্তব্য, ‘‘দলের সিদ্ধান্ত সবাইকে মানতে হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement