BJP

ময়নার মৃত বিজেপি কর্মীর দেহের দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিল হাই কোর্ট

এক সপ্তাহ আগে গত বৃহস্পতিবার বাকচার গোড়ামহল গ্রামে বাড়ির অদূরে একটি পান বরোজ থেকে দীনবন্ধুর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। এই ঘটনায় প্রথম থেকেই রাজনৈতিক হিংসার অভিযোগ তুলেছেন দিনবন্ধুর মা হেনারানি মিদ্যা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

ময়না শেষ আপডেট: ০১ মে ২০২৪ ২৩:৫২
Share:

কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।

ময়নার বিজেপি কর্মী দীনবন্ধু মিদ্যার মৃতদেহের পুনরায় ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। মৃতের পরিবারের আবেদন মেনে বুধবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের নির্দেশ, দেহের ময়নাতদন্ত হবে এসএসকেএম হাসপাতালে। ময়না তদন্তের গোটা পর্ব ভিডিয়োগ্রাফি করতে হবে। পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের নজরদারিতেই এই ঘটনার তদন্ত চলবে।

Advertisement

এক সপ্তাহ আগে গত বৃহস্পতিবার বাকচার গোড়ামহল গ্রামে বাড়ির অদূরে একটি পান বরোজ থেকে দীনবন্ধুর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। এই ঘটনায় প্রথম থেকেই রাজনৈতিক হিংসার অভিযোগ তুলেছেন দিনবন্ধুর মা হেনারানি মিদ্যা। তাঁর দাবি, ‘‘ছেলেকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’ এই ঘটনার নেপথ্যে স্থানীয় কয়েক জন তৃণমূল নেতা রয়েছেন বলে দাবি করেছিলেন হেনা। এর পরেই এলাকায় ছুটে যান বিজেপির নেতানেত্রীরা। বিজেপির তমলুক সাংগঠিক জেলার সভাপতি তথা হলদিয়ার বিধায়ক তাপসী মণ্ডল, তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও একাধিক প্রশ্ন তোলেন অভিজিৎ।

অভিজিতের অভিযোগ, ‘‘ছেলেটির মৃত্যুর খবর পেয়ে গোপাল পাঠক নামের এক পুলিশ অফিসার দেহ উদ্ধারে এসেছিল। যদিও ওই পুলিশ আধিকারিক ময়না থানায় ডিউটিতে ছিল না। কী কারণে এত তাড়াহুড়ো করে দেহ নিয়ে গেল পুলিশ, তা নিয়েই সন্দেহ দানা বেঁধেছে। তাই গোটা ঘটনায় পুলিশের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা উচিত।’’ হাই কোর্টে মৃতের পরিবারের তরফে দেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের দাবি জানানো হয়। আদালত সেই দাবি মেনেই এসএসকেএমে দেহের দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।

Advertisement

তবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিক তদন্তে এই ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েনজনিত কারণ রয়েছে বলে উঠে এসেছে। এই ঘটনায় এক মহিলার জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে বলেও জেলা পুলিশ সূত্রে খবর। তবে ঠিক কী ভাবে দীনবন্ধুর মৃত্যু হয়েছে, সেই বিষয়ে এখনও কোনও সুস্পষ্ট ভাবে জেলা পুলিশের তরফে জানানো হয়নি। মৃত দীনবন্ধুর বাবা পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক। ছেলের মৃত্যুসংবাদ পেয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিনি। বলেন, ‘‘ছেলের মৃত্যু কী ভাবে হল, এর পিছনে কোন ঘটনা দায়ী, তা আমার জানা নেই। তবে আমার ছেলের মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী হলে তার যেন উপযুক্ত শাস্তি হয়, এই প্রার্থনাই করছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement