midnapore

উচ্ছেদের নোটিসকে চ্যালেঞ্জ, হাই কোর্টে গেলেন ব্যবসায়ীরা

আজ, সোমবার হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থারর এজলাসে মামলার শুনানি রয়েছে বলে আইনজীবী সূত্রে জানানো হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাঁথি শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৮:৩১
Share:

কাঁথিতে বিধায়ক কার্যালয়-সহ রাস্তার পাশে এই সব দোকানে ভেঙে দেওয়ার নোটিস দিয়েছে মহকুমা প্রশাসন।

সরকারি জমি জবরদখলকারীদের তালিকায় খোদ বিধায়ক তথা পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সভাধিপতি উত্তম বারিকের নাম জুড়ল। ইতিমধ্যেই বিধায়কের দখলে থাকা তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়-সহ আরও ৪৭টি দোকান ভাঙচুরের জন্য উচ্ছেদের নোটিস দিয়েছে কাঁথি মহকুমা প্রশাসন। ওই নোটিসের পর প্রশাসনিক ভাবে তাঁদের হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে হাই কোর্টে মামলা করলেন কয়েক জন ব্যবসায়ী। আজ, সোমবার হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থারর এজলাসে মামলার শুনানি রয়েছে বলে আইনজীবী সূত্রে জানানো হয়েছে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, কাঁথি মহকুমা শাসকের দফতরের গা ঘেঁষে সরকারি জমিতে একের পর এক বহুতল গজিয়ে উঠেছে। গত বছর কাঁথি শহরের এক বাসিন্দা অভিজিৎ সাহু বিধায়ক কার্যালয় ভাঙার দাবিতে হাইকোর্টের জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন। তার প্রেক্ষিতে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজীকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। হাই কোর্টের নির্দেশে জেলাশাসকের দফতরে শুনানি হয়। এরপর জেলাশাসক দখলদারি হটাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার জন্য মহকুমাশাসককে নির্দেশ দেন। এর পর মাপজোক করতে গিয়ে তাজ্জব হন মহকুমা শাসকের দফতরের কর্মীরা। দেখা যায় ওই তালিকায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক এবং পুরসভার কাউন্সিলর আলেম আলি খানের নাম রয়েছে। ইতিমধ্যে তাঁদের উচ্ছেদের নোটিসও পাঠিয়েছে প্রশাসন। নোটিসে বলা হয়েছে, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলতে হবে। অন্যথায় প্রশাসন ভেঙে গুঁড়িয়ে দেবে। এর জন্য কাঁথি থানার আইসিকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে হবে। যদিও জেলা সভাধিপতির দাবি, ‘‘দলের ওই কার্যালয় প্রদীপ রায় নামে জনৈক দলীয় কর্মী ব্যবহার করতে দিয়েছেন। ব্যক্তিগতভাবে আমার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই।’’

যদিও এই উচ্ছেদের নোটিস পাঠানোর পর থেকে প্রশাসন তাঁদের সরে যেতে চাপ দিচ্ছে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। তাঁদের দাবি, ‘‘কয়েক দশক ধরে আমরা পুরসভাকে ট্রেড লাইসেন্স ফি এবং রাজ্য সরকারকে খাজনা দিয়ে আসছি। আচমকা উচ্ছেদের নোটিস দেওয়ায় ব্যবসার ক্ষতি হবে।’’ শুক্রবার ওই সব ব্যবসায়ীরা হাই কোর্টে মামলা করতে চেয়ে আবেদন করেন। তাঁদের মামলা করার অনুমতি দেন হাই কোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বেঞ্চ। ব্যবসায়ীদের তরফে আইনজীবী আবু সোহেল বলেন, ‘‘কয়েক দশক ধরে প্রয়োজনীয় নথি রেখে ওই ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করছেন। হঠাৎ করে গরিব মানুষের পেটে লাথি মারা হলে বহু সংসার ভেসে যাবে। তাই হাই কোর্টে মামলা করা হয়েছে। সোমবার মামলার শুনানি রয়েছে।’’

Advertisement

এই বিষয়ে কাঁথির মহকুমাশাসক সৌভিক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘মামলা সংক্রান্ত কোনও নথিপত্র এখন পর্যন্ত হাতে এসে পৌঁছয়নি। তাই কিছু বলতে পারব না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement