Burglary

বাড়িতে চুরি, খোয়া গেল জাতীয় পদকও

শনিবার রাতে পিংলার দুজিপুর বাজার সংলগ্ন এলাকায় এমনই চুরির অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল। এ দিন স্থানীয় সুব্রতকুমার দাস পিংলা থানায় বাড়িতে চুরির অভিযোগ দায়ের করেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২৩ ০৯:০২
Share:

চুরির পরে। নিজস্ব চিত্র

মাত্র তিন ঘণ্টার বাড়ি ছিল ফাঁকা। তার মধ্যেই বাড়িতে ঢুকে আটটি তালা ভাঙল চোরেরা। ভাঙল পাঁচটি আলমারিও। সবশেষে বাড়িতে থাকা গ্রামের মন্দিরের নগদ টাকা, কয়েক লক্ষ টাকার সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দিল চোরের দল। চুরির তালিকায় জুড়েছে টিভির রিমোট, এমনকি গৃহকর্তার জাতীয় পুরস্কারের পদকও!

Advertisement

শনিবার রাতে পিংলার দুজিপুর বাজার সংলগ্ন এলাকায় এমনই চুরির অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল। এ দিন স্থানীয় সুব্রতকুমার দাস পিংলা থানায় বাড়িতে চুরির অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনায় এলাকাবাসী ওই বাড়ির সামনে জমায়েত হয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তবে অবশ্য পুলিশ এলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। ওই পরিবারের অভিযোগ, ওই দিন বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ব্লকের ধনেশ্বরপুরের মহিষগোট এলাকায় নিজেদের শরিকি বাড়িতে গিয়েছিল পরিবারের সদস্যরা। এর ঘণ্টা তিনেক পরেই বাড়িতে ফিরে এলে চুরির ঘটনা সামনে আসে। ঘটনায় বাড়ি থেকে উধাও হয়েছে গ্রামের শীতলা মন্দিরের চাঁদা-সহ নগদ টাকা। এ ছাড়াও চুরি গিয়েছে প্রায় বহুমূল্যের সোনার গয়না। চুরির তালিকা থেকে বাদ যায়নি সুব্রতের বাবা অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষক নির্মলকুমার দাসের প্রাপ্ত জাতীয় পুরস্কারের পদক-সহ নানা পদকও। এমনকি বাড়ি টিভিটি অক্ষত থাকলেও, চোরেরা টিভির রিমোটটি নিয়ে চম্পট দিয়েছে বলে অভিযোগ।

বিষয়টি নিয়ে খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রানা মুখোপাধ্যায় বলেন, “অভিযোগ আসার সঙ্গে সঙ্গে তদন্ত শুরু হয়েছে। বিভিন্ন সূত্র আমাদের হাতে এসেছে। ভর সন্ধ্যায় এত কম সময়ে গ্রামের মধ্যে এতগুলি তালা, আলমারি ভেঙে চুরির বিষয়টি আমাদের খতিয়ে দেখতে হচ্ছে।’’ অভিযোগকারীর দাবি, ওই দিন বাড়ির উঠোনের বেড়া ভেঙে সদরে থাকা দু’টি লোহার ও একটি কাঠের দরজার তিনটি তালা ভাঙে চোরেরা। এরপর বাড়িতে ঢুকে পাঁচটি ঘরে থাকা তালা ভাঙা হয়। সব মিলিয়ে প্রায় আট-ন’টি তালা ভাঙে চোরেরা। তারপর দোতলার বাড়ির বিভিন্ন ঘরে থাকা প্রায় পাঁচটি আলমারি ভাঙা হয়। এত কম সময়ে এমন ভয়ঙ্কর চুরি কী ভাবে সংগঠিত হল। তা ভাবাচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দা থেকে তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকদের। এ ক্ষেত্রে চোরেদের কাছে আগে থেকেই বাড়ি কয়েক ঘণ্টা ফাঁকা থাকার তথ্য পৌঁছেছিল কি না, সেটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সঙ্গে বাড়িতে গ্রামের টাকা থাকার বিষয়টি চোরেদের নজরে এল কী ভাবে, সেই খোঁজও নিতে শুরু করেছে পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে বাজারের কাছে থাকা সিসি ক্যামেরা। কারণ স্থানীয় এক বাসিন্দা পুলিশকে জানিয়েছে ওই দিন সন্ধ্যায় একটি গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় ওই দাস বাড়ির সামনে। অভিযোগকারী সুব্রতকুমার দাস বলেন, “পুলিশ তদন্ত করছে। আমরা যে বাড়িতে নেই সেটা আগে থেকে কেউ জানত না। তবে বাজার থেকে যে মিষ্টি কিনে আনা হয়েছিল সেটা কারও নজরে পড়তে পারে। আবার আমাদের বাড়ির সকলে যখন টোটোয় যাচ্ছে সেটাও নজরে আসতে পারে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement