Suvendu Adhikari

শুভেন্দুর সভার আগে বোমাবাজি 

বিজেপি সূত্রের দাবি, ৬ জানুয়ারির সভায় সবংয়ের বহু তৃণমূল নেতা-কর্মী ও জনপ্রতিনিধি পদ্ম পতাকা হাতে নেবেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২১ ০৩:০৪
Share:

বোমায় ক্ষতিগ্রস্ত বিজেপি কর্মীর বাড়ি। নিজস্ব চিত্র।

অমিত শাহের মঞ্চে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গেই পদ্ম পতাকা হাতে নিয়েছেন সবংয়ের বাসিন্দা তথা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ অমূল্য মাইতি। ৬ জানুয়ারি সবং ব্লকের প্রবেশদ্বার তেমাথানিতে বিজেপির সভায় মূল আয়োজক তিনিই। সেখানে থাকার করার কথা শুভেন্দুরও। সেই সভার আগে তেতে উঠল বুড়াল গ্রাম পঞ্চায়েতের কেরুর গ্রাম। শনিবার রাতভর সেখানে বিজেপি ও বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ।

Advertisement

সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া অমূল্যের দাবি, “বিজেপিতে যাতে কেউ না আসতে পারে তার জন্য ভয়ের পরিবেশ তৈরি করছে মানস ভুঁইয়ার অনুগামীরা। ওই এলাকায় বাইক র‌্যালি করে এর প্রতিবাদ হবে।’’ একই সঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘৬ জানুয়ারির সভার পরে মানস ভুঁইয়ার অনুগামীদের ঘাম ছুটে যাবে।” তৃণমূল অবশ্য কোনও অভিযোগই মানেনি।

বিজেপি সূত্রের দাবি, ৬ জানুয়ারির সভায় সবংয়ের বহু তৃণমূল নেতা-কর্মী ও জনপ্রতিনিধি পদ্ম পতাকা হাতে নেবেন। শনিবার সন্ধ্যায় কেরুরের বিজেপি কর্মী উত্তমকুমার জানার বাড়িতে সেই সভার প্রস্তুতি বৈঠক ছিল। অভিযোগ, সেই বৈঠকের পরে রাতে উত্তমের বাড়ি-সহ আরও কিছু বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি শুরু হয়। বোমাবাজির জেরে উত্তমের বাড়ির অ্যাসবেস্টসের দেওয়ালের ক্ষতি হয়েছে। তিনি বলেন, “বিজেপিতে কে কী পদ পেতে পারে সেই নিয়ে একটা সম্ভাব্য আলোচনা করতে সন্ধ্যায় বৈঠক ছিল আমার বাড়িতে। তার পরেই বিজেপির ৬ জানুয়ারির সভায় যেতে দেবো না স্লোগান দিয়ে বোমাবাজি শুরু করে দাদার অনুগামীর বাইরে থাকা তৃণমূল।”

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কেরুর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের দাপুটে নেতা ছিলেন হরিপদ কর। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর লড়াই চরমে পৌঁছনোয় হরিপদ বিজেপির দিকে ঝোঁকেন। আদতে অমূল্যর অনুগামী হরিপদ-সহ বেশ কয়েকজন বিক্ষুদ্ধ তৃণমূল কর্মী এ বার সরাসরি বিজেপিতে যোগ দেবেন। সেই খবর ছড়ানোর পর থেকেই তেতে উঠেছে এলাকা।

হরিপদ বলেন, “আমরা ৬ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দেব। সেই নিয়ে সন্ধ্যায় বৈঠক ছিল। তার পরে এলাকায় তৃণমূল পিকনিক করে বোমাবাজি শুরু করে।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘উত্তম জানার বাড়ি ছাড়াও, এলাকায় ১৮টি বোমা পড়েছে। আমাদের বিজেপিতে যাওয়া ঠেকাতে তৃণমূলের স্বরূপ সেনগুপ্তরা এই কাজ করেছে।” অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের কেরুর বুথের সভাপতি স্বরূপ বলেন, ‘‘আমি পেশায় চিকিৎসক। রাতে বোমাবাজির আওয়াজে আমরাও আতঙ্কিত। পরে শুনলাম উত্তম জানার বাড়িতে বৈঠকের পরে বিজেপির আদি ও নতুন কর্মীদের মধ্যে গোলমালে এসব হয়েছে।’’

সম্ভাব্য দলবদলের খবরকেও গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। মানসের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত সবং তৃণমূলের সভাপতি অমল পণ্ডার কটাক্ষ, “বিজেপিতে অমূল্য মাইতির মতো জনপ্রিয় নেতা খুব কম রয়েছে মনে হয়! তাই উনি নানা কথা বলতেই পারেন। কিন্তু আমি অনৈতিক কাজকে কখনও প্রশ্রয় দিই না। তাই আমার বিশ্বাস তৃণমূলের কেউ বোমাবাজি করেনি।’’ এটা নতুন ও পুরনো বিজেপির মধ্যে গোলমাল বলেও দাবি করেছেন তিনিও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement