— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
সমুদ্রে স্নানে নেমে তলিয়ে গিয়েছিলেন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। দু’দিন পর উদ্ধার হল তাঁর দেহ। পরিবাররে অভিযোগ, খুন করা হয়েছে যুবককে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
শনিবার বন্ধুদের সঙ্গে কাঁথির জুনপুটে সমুদ্রে স্নান করতে নেমেছিলেন শেখ মিনাজ (১৯)। এর পরেই তিনি তলিয়ে যান বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে মৃতদেহ উদ্ধারে নামে পুলিশ। দু’দিন ধরে লাগাতার চেষ্টার পরেও কোনও খোঁজ মেলেনি। অবশেষে সোমবার কাঁথির শৌলার গঙ্গা মন্দিরের কাছে সমুদ্র সৈকতে মিনাজের দেহ ভেসে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে দেহ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কন্টাই পুরসভার ৫নং ওয়ার্ড মনোহরচকের বাসিন্দা মিনাজ। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। মোবাইল সারানোর দোকানও ছিল। গত শনিবার কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে মোটর বাইকে চেপে জুনপুটে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সমুদ্রে নেমে অনেকটা গভীরে চলে যান তাঁরা। আচমকা জলস্রোতে হাবুডুবু খেতে থাকেন। পরে বাকিরা পাড়ে ফিরে এলেও মিনাজের কোনও খোঁজ মেলেনি।
মিনাজের এক সঙ্গী জানিয়েছেন, সমুদ্রে নেমে মিনাজ এবং সঙ্গী অর্ণব মাইতি গভীরে গিয়ে সমুদ্রের ঢেউয়ে তলিয়ে যেতে থাকেন। দু’জনকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়েছিলেন তাঁরা। অর্ণবকে কোনও ভাবে উদ্ধার করা গেলেও মিনাজ ভেসে গিয়েছিলেন। ঘটনার পর তাঁরা ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। সৈকতে এসে বাইকে চড়ে বাড়ি পালিয়ে যান। তার পরেই পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হয়।
মিনাজের মা মিনা বিবির বলেন, ‘‘সমুদ্রে স্নানের সময় আমার ছেলেকে জলে ডুবিয়ে খুন করা হতে পারে। বন্ধুরা তাঁকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের প্রকৃত ঘটনা তদন্তের জন্য অনুরোধ জানিয়েছি।’’