‘থানার লোকেরাই মদ খাইয়ে আমার ছেলেকে মেরে ফেলেছে’। মঙ্গলবার রাতে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে গুলিবিদ্ধ হয়ে সাফাই কর্মী তরুণ ঘোড়ইয়ের মৃতদেহ এগরা থানায় এসে পৌঁছলে কাঁদতে কাঁদতে এমনই অভিযোগই করেন বাবা মানগোবিন্দ ঘোড়ই।
মঙ্গলবার সকালে এগরা থানার ব্যারাক থেকে উদ্ধার হয় থানার সাফাইকর্মী তরুণ ঘোড়ইয়ের গুলিবিদ্ধ দেহ। সেখানে তখন ছিলেন এসডিপিওর দেহরক্ষী প্রদীপ সিংহ। যে পিস্তলের গুলি লাগে তরুণের মাথায় সেটি ছিল প্রদীপের।
মঙ্গলবার রাতে তরুণের মৃতদেহ আসছে শুনে এগরা থানা চত্বরে ভিড় জমিয়েছিলেন এলাকার মানুষ এবং মৃতের পরিজনেরা। মৃতদেহ পৌঁছলে থানা চত্বর উত্তাল হয়ে উঠে। দোষীর উপযুক্ত শাস্তি এবং মৃতের পরিবারের একজনের কর্মসংস্থানের দাবিতে শববাহী গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখান সাধারণ মানুষ। বিক্ষোভ সামাল দিতে থানা চত্বরে মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। এদিকে ঘটনায় আটক অভিযুক্ত কনস্টেবল প্রদীপ সিংহ-এর নিরাপত্তার জন্য মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এগরা থানা থেকে তাঁকে কাঁথি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বিক্ষোভ সামাল দিতে আসেন পটাশপুর থানার ওসি। থানায় আসেন এগরার পুরপ্রধান শঙ্কর বেরা এবং কাউন্সিলররা। আধঘণ্টা ধরে থানা চত্বরে বিক্ষোভ চলে।
পরে রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ তরুণের মৃতদেহ আকলাবাদ গ্রামে পৌঁছয়। সেখানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। মানগোবিন্দবাবু বলেন, ‘‘পুলিশরা ছেলেকে মদ খাইয়ে পরিকল্পিত ভাবে খুন করেছে। দোষী পুলিশ কর্মীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। পরিবারের এক জনের চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে প্রশাসনকে।’’ বুধবার রাতে তরুণের দাদা অরুণ থানায় ভাইকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এসডিপিও-র দেহরক্ষী প্রদীপ সিংহকে গ্রেফতার করেছে। এগরা থানার পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের পরিবারের দাবিগুলি বিবেচনার জন্য জেলা পুলিশ আধিকারিকের কাছে পাঠানো হয়েছে।