নন্দীগ্রামে বিজেপিতে ভাঙন। ফাইল ছবি।
দলের খারাপ সময়ে ঘাম ঝরিয়েছেন, অথচ সুসময়ে তাঁদেরই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে দলীয় পদ থেকে। এমনকি, দলবিরোধী কাজের অভিযোগে কারণ দর্শানোর চিঠি ধরানো হচ্ছে। এমনই অভিযোগ তুলে বিজেপি ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন রাজ্য কমিটির সদস্য ও কাঁথি সাংগঠনিক যুব মোর্চার পর্যবেক্ষক বটকৃষ্ণ দাস এবং নন্দীগ্রাম ১ দক্ষিণ মণ্ডল সভাপতি জয়দেব দাস।
গত বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রামে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী জয়ের পিছনে এই দুই বিজেপি নেতার বড় ভূমিকা ছিল। তার পর এক বছরেই বদলে গিয়েছে চিত্র। দুই বিজেপি নেতার দাবি, শুভেন্দু অনুগামী নেতাদের জায়গা দিতেই পুরনোদের ওপর কোপ পড়ছে।
এই দুই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ, নতুন জেলা কমিটির নির্দেশ উপেক্ষা করে দলের পদে না থেকেও সভা-সমিতির আহ্বান করছেন তাঁরা। এর পরই গত ১২ অক্টোবর দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে জয়দেব ও বটকৃষ্ণকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেন বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায়। শেষ পর্যন্ত দলের সমস্ত পদ থেকে ইস্তফাই দিলেন দুই নেতা।
বিজেপি ছাড়ার পরই প্রশ্ন উঠছে, জয়দেব ও বটকৃষ্ণ কি তৃণমূলে যাচ্ছেন? তা নিয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে চাননি দুই নেতার কেউই। স্থানীয় সূত্রে দাবি করা হয়েছে, জয়দেব ও বটকৃষ্ণের পথেই নন্দীগ্রামে বিজেপিতে আরও ভাঙন ধরতে পারে।