কিসান মান্ডির আধিকারিককে মারধরের অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র।
একাধিক দাবিতে রাজ্য সরকারের কিসান মান্ডিতে বিক্ষোভ দেখানোকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার নন্দীগ্রামের হরিপুরে। শুক্রবার শতাধিক বিজেপি কর্মী সমর্থক বিক্ষোভ দেখানোর সময় কিসান মান্ডির এক্সটেনশন অফিসার বিদ্যুৎবরণ মণ্ডলকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম হন ওই আধিকারিক। ঘটনার জেরে এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ছুটে যায় নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ। যদিও আন্দোলনের নেতা হরিপুর ৫ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য মেঘনাদ পাল দাবি করেছেন, ঘটনাটি সম্পূর্ণ ভুল বোঝাবুঝির কারণে ঘটেছে। তবে আসল ঘটনাটি কী তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
নন্দীগ্রাম কিসান মান্ডিতে তৃণমূলের লোকেদের বেছে বেছে বীজ বিলি-সহ একাধিক বিষয়ে অনিময় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ বিজেপি-র। এই দাবিতেই শুক্রবার বেলা ১২টা নাগাদ হরিপুর ৫ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এবং উপপ্রধানের নেতৃত্বে কিসান মান্ডিতে একটি ডেপুটেশন দেওয়া হয়। এলাকার শতাধিক বিজেপি কর্মী মহিলা, পুরুষ এই ডেপুটেশনে শামিল হন। তবে মিছিল কিসান মান্ডিতে আসার পরেই আচমকা পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের।
মিছিল যখন কিসান মান্ডিতে পৌঁছয় ঠিক সেই সময় মান্ডি থেকে বেরোচ্ছিলেন এক্সটেনশন অফিসার বিদ্যুৎবরণ। তাঁকে হাতের কাছে পেয়েই উত্তেজিত বিজেপি কর্মী সমর্থকরা মাটিতে ফেলে তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ। যদিও বিক্ষোভকারী বিজেপি নেতা কর্মীদের একাংশ ভুল বুঝতে পেরে ওই আধিকারিককে উদ্ধার করেন। তার পর তাঁকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
বিদ্যুৎবরণ বলেন, “আমি যখন বাইরে যাচ্ছিলাম সেই সময় আচমকাই মিছিলের লোকজন দল বেঁধে আমার ওপর হামলা চালাল। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমাকে কিল, চড়, লাথি মারলেন বিক্ষোভকারীরা।” তবে বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়া মেঘনাদের দাবি, “ওই আধিকারিককে বেরিয়ে যেতে দেখে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ভুল বোঝাবুঝির জেরেই এই কাণ্ড ঘটেছে।”
তবে গোটা ঘটনা নিয়ে তৃণমূলের নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লক সভাপতি স্বদেশ দাসের অভিযোগ, কোনও কারণ ছাড়াই নন্দীগ্রামে উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন বিজেপি নেতা কর্মীরা। রাজ্য সরকারের কাজকর্মে যখন গোটা রাজ্যের মানুষ উপকৃত হচ্ছেন তখন নন্দীগ্রামে বিজেপি-র কিছু লোকজন অকারণে কিসান মান্ডিতে এ ভাবে হামলা চালিয়েছেন। এই ঘটনায় দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন স্বদেশ।