প্রতীকী ছবি।
জিতেছিলেন বিজেপির টিকিটে। সিপিএমের সাহায্য নিয়ে হয়েছিলেন পঞ্চায়েত প্রধানও। কিন্তু মাঝপথে দলবদল।
কেশিয়াড়ির ঘৃতগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুলতা মান্ডি সর্দার যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। এখন বিজেপি চায় প্রধানের সদস্যপদ খারিজ করতে। বিডিওর দ্বারস্থ হয়েছে গেরুয়া শিবির। বিডিও নোটিস পাঠিয়ে ডেকেছেন শুনানিতে। কিন্তু অভিযোগ, তিনবার ডেকে পাঠানোর পরও শুনানিতে উপস্থিত হননি সুলতা। তৃতীয় নোটিস অনুযায়ী মঙ্গলবার ছিল বৈঠকের শেষদিন। কেন হাজির হচ্ছেন না? প্রতিক্রিয়া জানতে সুলতাকে একাধিকবার ফোন করা হয়েছিল। কিন্তু প্রতিবারই ফোন বেজে গিয়েছে। জবাব মেলেনি এসএমএসেরও।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেশিয়াড়ির ঘৃতগ্রাম পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বোর্ড গঠন করে বিজেপি। মোট দশটি আসনের মধ্যে বিজেপি চারটি, সিপিএম দু’টি ও তৃণমূল পায় চারটি আসন। সিপিএমের দুই পঞ্চায়েত সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে বোর্ড গড়েছিল বিজেপি। প্রধান হয়েছিলেন বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য সুলতা। তিনি পঞ্চায়েত এলাকার মহিষামুড়া বুথ থেকে জয়লাভ করেছিলেন। পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের কয়েক মাস পরেই গত ২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর জেলা তৃণমূলের অফিসে গিয়ে দলবদল করেছিলেন সুলতা। বিজেপির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন। তারপর গত ২০১৯ সালের নভেম্বরে বিজেপি তার সদস্যপদ খারিজের আবেদন জানায়। বিডিও সৌগত রায় পঞ্চায়েত আইনের নিয়ম মতো নোটিস দেন। সেখানে বিডিও অফিসে প্রধান সুলতাকে তাঁর কাগজপত্র-সহ উপস্থিত থাকার কথা জানানো হয়েছিল। গত বছরের ২৬ নভেম্বর, ১২ ডিসেম্বর ও চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি তিনটি নোটিস দেন বিডিও। তৃতীয় নোটিসের তারিখ অনুযায়ী এদিন ছিল বৈঠকের দিন। বিজেপির সদস্যেরা ব্লক অফিসে উপস্থিত হলেও সুলতা আসেননি। বিজেপির উত্তর মণ্ডলের সভাপতি যুগজিৎ পালোই বলেন, ‘‘বিডিও এক সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন। যিনি দলত্যাগ করেছেন, তাঁর সদস্যপদ খারিজের আবেদন করেছিলাম। আমরা নতুন করে আস্থা ভোট চাইব। তাতেও জিতব।’’ বিজেপির বক্তব্য, বিডিওর নির্দেশ অমান্য করা হচ্ছে।
তিনটি নোটিসের পরেও উপস্থিত হলেন না প্রধান। এরপর কী ব্যবস্থা নেবেন? বিডিও সৌগত রায় বলেন, ‘‘জানতে চাওয়া হবে কেন উপস্থিত হননি। তারপর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অশোক রাউত বলেন, ‘‘এই বিষয়টি নিয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।’’