বিক্ষুব্ধদের প্রচারে নামাতে তৎপর বিজেপি

বিক্ষুব্ধদের বিরুদ্ধে ঠিক কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সেই প্রশ্নে বিজেপির বিরোধ আগেই সামনে এসেছে। দলের খড়্গপুর শহর নেতৃত্ব যেখানে ১১ জন বিক্ষুব্ধকে বহিষ্কার করার কথা ঘোষণা করেছেন, সেখানে রাজ্য নেতৃত্বের দাবি, তাঁদের শো-কজ করা হয়েছে। এখন আবার এই ১১জনের একাংশকে ভোট প্রচারে নামাতে উদ্যোগী হয়েছেন বিজেপি-র জেলা নেতৃত্ব। তা নিয়েও বেধেছে কোন্দল। দলের মণ্ডল (শহর) সভাপতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের হুঁশিয়ারি দিয়ে জেলা নেতৃত্বের আবেদনে সাড়া দেওয়ার কথা জানিয়েছেন বিক্ষুব্ধরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০১৫ ০০:২৮
Share:

বিক্ষুব্ধদের বিরুদ্ধে ঠিক কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সেই প্রশ্নে বিজেপির বিরোধ আগেই সামনে এসেছে। দলের খড়্গপুর শহর নেতৃত্ব যেখানে ১১ জন বিক্ষুব্ধকে বহিষ্কার করার কথা ঘোষণা করেছেন, সেখানে রাজ্য নেতৃত্বের দাবি, তাঁদের শো-কজ করা হয়েছে। এখন আবার এই ১১জনের একাংশকে ভোট প্রচারে নামাতে উদ্যোগী হয়েছেন বিজেপি-র জেলা নেতৃত্ব। তা নিয়েও বেধেছে কোন্দল। দলের মণ্ডল (শহর) সভাপতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের হুঁশিয়ারি দিয়ে জেলা নেতৃত্বের আবেদনে সাড়া দেওয়ার কথা জানিয়েছেন বিক্ষুব্ধরা।

Advertisement

পুরভোটের আগে বহিষ্কৃত বিক্ষুব্ধদের দলীয় প্রচারে নামানোর জন্য সোমবার থেকেই আবেদন করছেন বিজেপির জেলা সভাপতি তুষার মুখোপাধ্যায়। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, জেলা সভাপতি এই সিদ্ধান্ত নিয়ে এক দিকে যেমন ওই বিক্ষুব্ধদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন, তেমনই বিক্ষুব্ধদের বহিষ্কারে তাঁর সম্মতি নেই বলেও স্পষ্ট করেছেন। তুষারবাবু বলেন, ‘‘দলের প্রতি কারও ক্ষোভ থাকতেই পারে। কিন্তু যে ভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে তাতে তাঁদের শো-কজ করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ওই সব পুরনো কর্মীদের জন্য আমাদের দরজা সর্বদা খোলা। তাই ক্ষুব্ধ কর্মীরা যাতে নিজের ভুল শুধরে দলের প্রচারে নামেন সেই জন্য আবেদন করেছি।’’ বিক্ষুব্ধ নির্দল প্রার্থীদেরও লিফলেট বিলি করে দলের প্রচারে নামতে বলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু বিক্ষুব্ধ নির্দলরা নির্বাচনে জিতলে কি তাঁদের দলে ফেরানো হবে? এ বার তুষারবাবুর জবাব, ‘‘নির্বাচনে যাঁরা নির্দল হয়ে লড়াই করবেন, তাঁদের কোনওদিন দলে গ্রহণ করা হবে না।’’

মনোনয়ন প্রত্যাহারের আগেও বিক্ষুব্ধদের অনেকের সঙ্গেই কথা বলেছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি। তারপরেই শেষ দিনে চারজন বিক্ষুব্ধ নির্দল প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। এ বার বিক্ষুব্ধদের বুঝিয়ে বিজেপির সমর্থনে প্রচারে নামাতে চাইছেন জেলা নেতৃত্ব। আবেদনে কি সাড়া পেয়েছেন? তুষারবাবুর জবাব, ‘‘জেলা নেতা শৈলেশ শুক্ল-র মতো আমাদের অনেক ক্ষুব্ধ কর্মী ও ওয়ার্ড সভাপতি দলের প্রচারে নামবেন বলে আমাকে জানিয়ে দিয়েছেন।’’ শৈলেশ অবশ্য বলেন, ‘‘তুষারদার সঙ্গে কথা হয়েছে। আমি দলের পুরনো যোগ্য প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করব। তবে মণ্ডল সভাপতি হয়ে প্রেমচাঁদ ঝা প্রার্থী বাছাইয়ে প্রভাব খাটানো থেকে আমাদের বহিষ্কারের মতো দলের সংবিধান ভেঙে যে কাজ করেছেন তার বিরুদ্ধে লড়াই চলবে।’’ দলে সদ্য আসা প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করবেন না বলেও জানিয়েছেন শৈলেশ। বিক্ষুব্ধ নির্দল প্রার্থী প্রবীণ নেতা অজয় চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মণ্ডল সভাপতি প্রেমচাঁদ পদত্যাগ করলে আমি নির্দল প্রার্থিপদ ছেড়ে দিতে রাজি।’’ প্রেমচাঁদের অবশ্য সাফ কথা, ‘‘পদত্যাগের প্রশ্নই নেই। আমি জেলা সভাপতির নির্দেশে বিক্ষুব্ধদের বহিষ্কার করেছি। আর প্রার্থী বাছাই জেলা ও শেষে রাজ্যের অনুমোদনেই হয়েছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement