BJP

জনসংযোগে বিজেপির নয়া পথ ‘সহ-ভোজ’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২১ ০৭:০২
Share:

ফাইল চিত্র।

একেবারে আটপৌরে মানুষের বাড়িতে বসে পাত পেড়ে মধ্যাহ্নভোজন করছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কিংবা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা, রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এমন দৃশ্যের সাথে রাজ্যের মানুষের পরিচয় ইতিমধ্যেই ঘটেছে। দলের কেন্দ্রীয় নেতারা সাধারণ মানুষের বাড়িতে খেয়ে দলীয় কর্মী-সমর্থকের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কাছে বিজেপিকে গ্রহণযোগ্য করে তোলার যে প্রয়াস শুরু করেছেন, সেই পথে হেঁটেই নিজের নিজের এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলতে ও দলের প্রচারে বিজেপির জেলা ও ব্লক নেতৃত্ব গ্রামে গ্রামে বাসিন্দাদের সাথে পঙক্তি ভোজনের কর্মসূচি নিয়েছেন।
‘সহভোজ’ কর্মসূচিতে বিজেপির জেলা ও ব্লক নেতৃত্ব বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকায় গিয়ে দলের স্থানীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থক-সহ এলাকার বাসিন্দাদের নিয়ে আলোচনায় বসছেন। সেখানেই তাঁদের সঙ্গে বসে মধ্যাহ্নভোজন সারছেন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় চলতি সপ্তাহ থেকেই এই কর্মসূচি শুরু করেছে বিজেপি। বিধানসভা ভোটের আগে এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও নিবিড় করার পাশাপাশি দলের সাংগঠনিক শক্তি আরও বাড়ানোর লক্ষ্যেই গেরুয়া শিবিরের এই কর্মসূচি বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
দলীয় সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকারের সাফল্য তুলে ধরে বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি বাড়ি প্রচারের লক্ষ্যে রাজ্যে ‘গৃহসম্পর্ক’ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে আগেই। কর্মসূচিতে বিজেপি নেতা-কর্মীরা কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন কাজের খতিয়ান তুলে ধরে বাড়ি বাড়ি পুস্তিকা বিলি করেছিলেন। অন্য দলের সমর্থকদের কাছেও দলের প্রচার করা হয়েছিল। ‘গৃহ সম্পর্ক’ অভিযানে অন্যান্য জেলার সঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুরেও ভাল সাড়া মিলেছিল। সেই রেশ ধরেই বিধানসভা ভোটের আগে বাসিন্দাদের আরও কাছে পৌঁছতে এ বার ‘সহভোজ’ কর্মসূচি নিয়েছে গেরুয়া শিবির।
কীভাবে পালন করা হচ্ছে ‘সহভোজ’ ?
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সাংগঠনিকভাবে প্রতিটি মণ্ডল এলাকায় একাধিক পঞ্চায়েত রয়েছে। পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন গ্রামে বাসিন্দাদের ডেকে কৃষি আইন-সহ কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন কাজের বিষয়ে আলোচনা সভা করা হচ্ছে। সেখানে হাজির থাকছেন বিজেপির জেলা ও মণ্ডল নেতৃত্ব। আলোচনার পরে সেখানে একসঙ্গে বসে পঙক্তি ভোজন করছেন বিজেপি নেতারা। এর ফলে স্থানীয় মানুষের মধ্যে দলীয় প্রচার জোরদার হচ্ছে বলে দাবি বিজেপি নেতৃত্বের। কয়েক দিন আগেই শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের শান্তিপুর-১ পঞ্চায়েতের শান্তিপুর গ্রামে ‘সহভোজ’ কর্মসূচিতে ছিলেন বিজেপির জেলা (তমলুক) সভাপতি নবারুণ নায়েক সহ মণ্ডল নেতৃত্ব। দলীয় সূত্রে খূর, কর্মসূচিতে স্থানীয় প্রায় ৫০০ জন বাসিন্দা যোগ দিয়েছিলেন। নবারুণ বলেন, ‘‘এলাকার বাসিন্দাদের কাছে কৃষি আইন-সহ কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ের কাজ তুলে ধরতেই জেলার প্রতিটি গ্রামে এই কর্মসূচি পালনের লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement