প্রতীকী ছবি।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে বড়দিনের উৎসবে একাধিক কর্মসূচি নিয়েছে কাঁথি সাংগঠনিক বিজেপি। আগামী ২৫ ডিসেম্বর মণ্ডল ও বুথে বড়দিন উৎসবে কেক বিতরণের মাধ্যমে জনসংযোগ করবেন বিজেপি কর্মীরা। কোথাও চড়ুইভাতি অনুষ্ঠানে যুবকদের সঙ্গ দিতে দেখা যাবে বিজেপি নেতাদের। যদিও গেরুয়া শিবিরের এই কর্মসূচিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল।
বড়দিনের উৎসবে দলীয় প্রতীক ছাড়াই জনসংযোগ করতে দেখা যাবে বিজেপি কর্মীদের। পঞ্চায়েত ভোটের আগেই তৃণমূলের নেতা ও বিধায়কেরা ইতিমধ্যে গ্রামে গ্রামে ঘুরে জনসংযোগ শুরু করেছেন। ব্লক ও জেলা নেতৃত্বদের প্রতিদিন পাঁচটি পরিবারের সঙ্গে জনসংযোগ করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব। জনসংযোগের সেই ছবি তৃণমূলের আইটি সেলে জমা দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে। বড়দিনকে সামনে রেখে তাই বিজেপিও জনসংযোগের নতুন কৌশল নিয়েছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।
বড়দিনের ছুটি উপলক্ষে দেদার আড্ডা ও পিকনিকে মাতোয়ারা হয় রাজ্যবাসী। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিজেপির মণ্ডল ও বুথ স্তরে বড়দিনের আড্ডার আয়োজন করা হয়েছে। স্থানীয় পিকনিক স্পটগুলিতে কেক নিয়ে হাজির থাকবেন বিজেপি কর্মীরা। দলীয় প্রতীক ছাড়াই বড়দিন উপলক্ষে কেক বিতরণ সহ সাধারণ মানুষের সঙ্গে আড্ডার ছলে জনসংযোগ করবেন বিজেপি কর্মীরা। কোথাও চড়ুইভাতি অনুষ্ঠানে যুবকদের সঙ্গে দেখা যাবে স্থানীয় বিজেপি নেতাদের। এগরা, পটাশপুর ও ভগবানপুরে বিজেপির উদ্যোগে যুব মোর্চাকে বড়দিনে জনসংযোগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে পটাশপুর ও ভগবানপুরে সন্ত্রাস কবলিত এলাকায় বড়দিন উপলক্ষে জনসংযোগ করতে গিয়ে শাসক দলের বাধার মুখে পড়ার আশঙ্কা করছে বিজেপি। সন্ত্রাস কবলিত এলাকায় ‘চায়ে-পে চর্চা’র কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ওই সব এলাকার দিনের বেলায় কর্মসূচি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তবে বিজেপির বড়দিনের কর্মসূচিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। তাদের পাল্টা দাবি, এ সবই লোক দেখানো। কাঁথি সাংগঠনিক তৃণমূলের জেলা সম্পাদক অভিজিৎ দাস বলেন, ‘‘সারা বছর মানুষের পাশে থেকে উন্নয়ন করেন তৃণমূলের কর্মীরা। বড়দিনে বিজেপি মানুষের সঙ্গে থাকলেও মানুষের কোনও উপকার হবে না। ভোট আসছে, তাই লোক দেখানো রাজনীতি করতে চাইছে বিজেপি।’’
কাঁথি সাংগঠনিক বিজেপির জেলা সম্পাদক সুকান্ত প্রধান বলেন, ‘‘বড়দিনে সাধারণ মানুষের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নেবেন দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা। সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ভাবে বড়দিনে সাধারণ মানুষকে নিয়ে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।’’ পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই কর্মসূচি বিজেপিকে কতটা মাইলেজ দেয় সেটাই দেখার!