—প্রতীকী ছবি।
নন্দীগ্রামের দু’টি পঞ্চায়েত সমিতিই দখল নিল বিজেপি। এর মধ্যে নন্দীগ্রাম-২ ব্লকে সংখ্যাগরিষ্ঠতার নিরিখে এবং নন্দীগ্রাম-১ ব্লকে টসে জিতে সভাপতি পদটি ছিনিয়ে নিয়েছে তারা। নন্দীগ্রাম-১ ব্লকে বোর্ড গঠনের পর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, ‘‘আমি ক্ষমতাবলে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। আমি নিজে থেকে গ্রাম পঞ্চায়েত এবং সমিতির উন্নয়নে কাজ করব।’’ যদিও তৃণমূলের দাবি, সমিতির মাথায় বিজেপি বসলেও বোর্ডের রাশ তাঁদের হাতেই থাকবে।
এ বার পঞ্চায়েত নির্বাচনে নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের ২৪টি আসনের মধ্যে ২৩টিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজেপি। ১টি আসনে তারা কোনও প্রার্থী দিতে পারেননি। ভোটের ফলে দেখা যায়, এই পঞ্চায়েত সমিতিতে ১৫টি করে আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল ও বিজেপি। সোমবার ছিল নন্দীগ্রাম-১ পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন। সকাল থেকেই দুই দলের কর্মী-সমর্থকেরা নন্দীগ্রাম-১ ব্লক অফিসের সামনে ভিড় জমান। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েনও করা হয়। বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় গোটা এলাকা। ব্লক অফিস চত্বরে সাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। এর পর দুই দলের ১৫ জন করে সদস্য ব্লক অফিসে হাজির হন। প্রথমে ভোটাভুটিতে দু’পক্ষ সমান ভোট পায়। পরে টসের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচিত হন বিজেপির শ্যামল সাহু এবং সহ-সভাপতি হন তৃণমূলের জয়ন্তী মণ্ডল।
পরে দলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে শুভেচ্ছা বার্তা দিতে ব্লক অফিসে আসেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘আমরা নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের ২৩টি পঞ্চায়েত সমিতিতে লড়েছিলাম। এর মধ্যে ১৭টি আসনে জেতার পরিস্থিতিতে থাকলেও ভোট গণনার পর ১৫টিতে জয়ী হয়েছি। এই পঞ্চায়েত সমিতি যাতে এমপি ল্যাড, এমএলএ ল্যাডের টাকা খরচ করতে পারে, তা দেখব।’’ পাল্টা তৃণমূলের তরফে তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পীযূষ ভুঁইয়ার দাবি, ‘‘এখানে লটারিতে বিজেপি জিতলেও গোটা বিধানসভার নিরিখে তৃণমূল ১০ হাজারেরও বেশি ভোটে বিজেপির থেকে এগিয়ে আছে। তাই বোর্ড গঠনে কর্মাধ্যক্ষ নিয়োগের সময় তৃণমূলের প্রার্থীরাই এখানে ক্ষমতায় থাকবে।’’
অন্য দিকে, নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতিতেও বোর্ড গঠন করল বিজেপি। এর আগে এখানে তৃণমূলের বোর্ড ছিল। তবে এ বার পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির পক্ষ্যে ফল ১৪-৭ হওয়ায় এই প্রথম বার নন্দীগ্রাম ২ পঞ্চায়েত সমিতি গেরুয়া শিবিরের দখলে গেল। সেখানে সভাপতি হয়েছেন বর্ণালী মণ্ডল এবং সহ-সভাপতি হয়েছেন মমতা পাত্র।