—প্রতীকী চিত্র।
অয্যোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধনের দিন আড়াইশো বছরের বেশি পুরনো পাঁশকুড়ার রঘুনাথজিউ মন্দিরে যাগযজ্ঞ এবং বিশেষ পুজোপাঠের আয়োজন করেছে বিজেপি। আগামীকাল অর্থাৎ শনিবার মন্দির পরিদর্শনে আসছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী। মন্দির চত্বরে সংবর্ধনা দেওয়া হবে এলাকার হস্তশিল্পীদের।
১৭৭৬ খ্রিষ্টাব্দে কাশীজোড়া পরগনার রাজা রাজনারায়ণ রায় পাঁশকুড়ার রঘুনাথবাড়িতে একটি রামমন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। মন্দিরের জন্য ১৮৮০ বিঘা জমি দান করেন রাজা। মন্দিরে রাম, সীতা, হনুমান, অঙ্গদ, সুগ্রীব এবং বিভীষণের অষ্টধাতুর মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন রাজা রাজনারায়ণ রায়। ১৭৯০ সালে কাশীজোড়া পরগরনার রাজা সুন্দরনারায়ণ রায় ১৩ চূড়া বিশিষ্ট একটি রথ তৈরি করে বিজয়া দশমীতে রথযাত্রা শুরু করেন। সেই প্রথা আজও চলছে।
প্রতি বছর বিজয়া দশমীতে রঘুনাথ জিউর রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। রথযাত্রা উপলক্ষে বসে মেলা। অয্যোধ্যায় রামমন্দির প্রতিষ্ঠার আবহে তৈরি হওয়া আবেগকে কেন্দ্র আড়াইশো বছরের বেশি পুরনো পাঁশকুড়ার রঘুনাথ জিউর মন্দিরে বিশেষ পুজোর আয়োজন হচ্ছে বিজেপির উদ্যোগে। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব এবং কয়েকটি হিন্দু সংগঠন আগামী ২২ জানুয়ারি রঘুনাথ জিউ মন্দিরে বিশেষ পুজো, যজ্ঞ, নগর পরিক্রমার আয়োজন করেছে।থাকছে প্রসাদের ব্যবস্থাও। তার আগে শনিবার মন্দিরে আসছেন কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী।
মন্দিরের দায়িত্বে থাকা মোহন্ত রামানুজ দাস বলেন,"২২ জানুয়ারি অয্যোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন আমাদের এখানে বিশেষ পুজোর আয়োজন করেছে কয়েকটি সংগঠন। অয্যোধ্যা থেকে প্রসাদি চাল আগেই মন্দিরে এসে পৌঁছে গিয়েছে। রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন যত এগিয়ে আসছে তত এই মন্দিরেও মানুষের আনাগনা বাড়ছে। মানুষের আবেগ বাড়ছে।" পাঁশকুড়ার বিজেপি নেতা অঞ্জন মাইতির কথায়,"রামমন্দির উদ্বোধনের দিন রঘুনাথ জিউ মন্দিরেও একাধিক ধর্মীয় আচার পালিত হবে। এলাকার সমস্ত মানুষকে আমরা ২২ জানুয়ারি মন্দিরে আসার আমন্ত্রন জানিয়েছি।"