অর্জুন ঘনিষ্ঠ দুষ্কৃতী ধৃত, দাবি পুলিশের

রেলশহরে পরপর গুলির চলার ঘটনার প্রতিবাদে খড়্গপুর টাউন থানায় ঘেরাও এবং স্মারকলিপি জমার নির্দেশ দিয়েছিলেন খোদ বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:০১
Share:

বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহের ‘ঘনিষ্ঠ’ গ্রেফতার হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।—ফাইল চিত্র।

শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার থানা ঘেরাও কর্মসূচি ছিল বিজেপির। তার আগেই আগ্নেয়াস্ত্র-সহ এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তাদের দাবি, ধৃত বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহের ‘ঘনিষ্ঠ’।

Advertisement

রেলশহরে পরপর গুলির চলার ঘটনার প্রতিবাদে খড়্গপুর টাউন থানায় ঘেরাও এবং স্মারকলিপি জমার নির্দেশ দিয়েছিলেন খোদ বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবারের ওই কর্মসূচির আগেই বুধবার রাতে শহরের মথুরাকাটি এলাকা থেকে সুনীল ইয়ান্ডা নামে এক যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করে। খড়্গপুর শহরের ১১নম্বর ওয়ার্ডের চণ্ডীপুর এলাকার বাসিন্দা ওই যুবকের থেকে একটি পিস্তল ও দু’রাউন্ড গুলি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। তাদের দাবি, বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহের ‘ঘনিষ্ঠ’ ধৃত ওই যুবকের নামে আগেও নানা মামলা রয়েছে।

বুধবার রাতে মথুরাকাটি ধোবিঘাট এলাকায় কয়েকজন যুবক জড়ো হয়েছে খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছয়। বাকিরা পালিয়ে গেলেও সুনীল ধরা পড়ে যায়। তল্লাশি চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ডাকাতির উদ্দেশে তারা জড়ো হয়েছিল বলে দাবি পুলিশের। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “গ্রেফতারের পরে জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহের ঘনিষ্ঠ বলে নিজের পরিচয় দিয়েছে ওই সুনীল। এমনকি, নির্বাচনের সময়ে খড়্গপুর থেকে অর্জুন সিংহের কাছে বহু কর্মী পাঠিয়েছিল বলে দাবি করেছে ওই যুবক। আমরা বিষয়টি দেখছি।” যদিও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজি সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, “একজনকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। তাই এর বেশি এখনই কিছু বলা যাবে না।”

Advertisement

সুনীলের স্ত্রী অর্চনা ইয়ান্ডার দাবি, তাঁর স্বামী বিজেপির সঙ্গে যুক্ত নন। এমনকি, অর্জুন সিংহের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। বিষয়টি নিয়ে বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি গৌতম ভট্টাচার্য বলেন, “শহরের আইনশৃঙ্খলা তলানিতে। এর পিছনে তৃণমূল রয়েছে। তাই আমরা থানা ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছি। প্রকৃত অপরাধী ধরা পড়ুক আমরাও চাই। কিন্তু তৃণমূলের চাপে পুলিশ আমাদের দলকে কালিমালিপ্ত করতে দুষ্কৃতী যোগ খুঁজছে।” জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতির কথায়, ‘‘বিজেপি দুষ্কৃতীদের মদত দিচ্ছে। প্রশাসন তাদের কাজ করছে।’’

এ দিন পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি পালন করেছে বিজেপি। এসডিপিওর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে স্মারকলিপি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement