পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান বিরোধী নেতা। নিজস্ব চিত্র।
‘হাওড়া যাওয়ার’ পথে রাজ্যের বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আটকাল পুলিশ। রবিবার দুপুরে পূর্ব মেদিনীপুরের রাধামণি মোড়ের কাছে শুভেন্দুকে আটকায় পুলিশ। শুভেন্দু জানতে চান, তাঁকে কেন যেতে দেওয়া হচ্ছে না। পুলিশ জানায়, তাঁরা জানতে পেরেছেন যে তিনি ‘অশান্ত’ হাওড়ায় যাচ্ছেন। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দিকে খেয়াল রেখে তাঁকে সেখানে যেতে দেওয়া যাবে না। এটা শুনেই মেজাজ হারান শুভেন্দু। তাঁর বক্তব্য, তিনি কোলাঘাট গেস্ট হাউসে যাচ্ছেন। তিনি এখন রয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। এখানে ১৪৪ ধারা জারি হয়নি। তাহলে এখানে কেন আটকানো হচ্ছে? যদিও তার পরেও বিজেপি বিধায়কের রাস্তা ছাড়েনি পুলিশ। শুরু হয় চরম বাদানুবাদ। শুভেন্দুর কটাক্ষ, ‘‘রাজ্য পুলিশ বলে কিছু নেই, সবই মমতা পুলিশ হয়ে গিয়েছে।’’
শুভেন্দু বলতে থাকেন, তিনি তাঁর কাঁথি, হলদিয়া না কি কলকাতার বাড়িতে থাকতে যাবেন, তা ঠিক করার এক্তিয়ার পুলিশের নেই। কিন্তু তারা এ সব করছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে। শুভেন্দুর কটাক্ষ, ‘‘আপনারা (পুলিশ) আমার কথা শোনেননি। আমি আপনাদের কথা শুনব না।’’ এর পর তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি জানি কোথা থেকে নির্দেশ নিয়ে এই কাজ করছেন (পুলিশ অফিসার)। আপনাকে এই নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বিরোধী নেতাকে এই ভাবে আটকানো যায় না।’’
ওই পুলিশ অফিসারকে তাঁকে এও বলতে শোনা যায়, ‘‘আপনি বিপদে পড়লে পিসি-ভাইপো বাঁচাতে আসবে না।’’ শুভেন্দু হুঁশিয়ারি দিয়ে যান, এ নিয়ে তিনি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হবেন। ইতিমধ্যে রাজ্যপাল, রাজ্যের মুখ্যসচিবের সঙ্গে কথা বলেছেন।এর পরেও পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদ চলে শুভেন্দুর। তাঁকে ফিরে যেতে বলে পুলিশ। কিন্তু শুভেন্দু জানান, রবিবারই তিনি কলকাতা যাবেন। সোমবার বিধানসভায় যাওয়ার আছে তাঁর। এর পর বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে ভিডিয়ো করেন শুভেন্দু। তাঁকে ফোন করে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। অন্য দিকে, এই পরিস্থিতিতে ‘পুলিশ তুমি উর্দি ছাড়ো’ স্লোগান তোলেন শুভেন্দুর অনুগামীরা।
এ নিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, বিজেপি নেতারা অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। বর্তমান হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায় যখন অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তখন বিজেপি নেতারা রাজনীতি করতে চাইছেন।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।