প্রতীকী ছবি।
স্বামী তাঁকে নিত্য দিন শারীরিক নিগ্রহ করতেন। শুধু তাই-ই নয়, মারধরও চলত সমান তালে। রেহাই পেতে তাই সঞ্চয়ের পুরো টাকা খরচ করে ভাড়াটে খুনি দিয়ে স্বামীকে খুন করানোর অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বিরুদ্ধে।
আমদাবাদের এলিসব্রিজ এলাকায় বেশ কিছু দিন আগে এক রিকশাচালকের ক্ষতবিক্ষত দেহ মেলে। সেই ঘটনায় পুলিশ কিছুতেই কোনও সূত্র খুঁজে পাচ্ছিল না। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ধারণা ছিল, কোনও বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক, টাকাপয়সা লেনদেন নিয়ে শত্রুতার জেরে খুন হয়েছেন তিনি। এই ঘটনায় যে রিকশাচালকের স্ত্রীর হাত রয়েছে, তা প্রথমে ধরতেই পারেননি তদন্তকারীরা।
এলিসব্রিজ এবং তার আশপাশের প্রায় ২০০টি সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার পর আসল খুনির হদিস পায় পুলিশ। এই ঘটনায় পাঁচ ভাড়াটে খুনিকে গ্রেফতার করা হয়। এক জন পলাতক। গ্রেফতার করা হয়েছে রিকশাচালক শান্তিলালের স্ত্রী রুপেলকেও।
গ্রেফতার অভিযুক্তরা।
পুলিশ জানিয়েছে, শান্তিলাল এবং রুপেলের বিয়ে হয়েছে ২০ বছর আগে। তাঁদের এক সন্তানও আছে। শান্তিলাল রিকশা চালিয়ে উপার্জন করতেন। আর রুপেল কাজ করতেন রেশমের। রুপেলের অভিযোগ, স্বামী প্রতি দিন যৌন এবং মানসিক ভাবে নিপীড়ন করতেন তাঁকে। স্বামীর সেই অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন রুপেল। এর জন্য তিনি তাঁর সারা জীবনের সঞ্চয়ের চার লক্ষ টাকা খরচ করে ভাড়াটে খুনিদের কাজে লাগান। শান্তিলালকে ১০ বার খুনের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। এর পর খুনিরা যাত্রী সেজে শান্তিলালের রিকশায় ওঠে। তার পরই তাঁকে পালড়ী নামে একটি জায়গায় নিয়ে গিয়ে ছুরি মেরে খুন করা হয়।