Suvendu Adhikari

ফের তারিখ দিলেন শুভেন্দু! তবে এ বার সরকারের হয়ে, কৌতূহল, এ বার কি মিলবে?

২০২৩ সালেই পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোট হওয়ার কথা। তবে সেটা কবে এবং কোন মাসে, তার কোনও আভাস মেলেনি শাসকদলের তরফে। সেখানে বিরোধী দলনেতার আগেভাগে তারিখ ঘোষণা ‘তাৎপর্যপূর্ণ’।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খেজুরি শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২৩ ১৮:২৪
Share:

ঠাকুরনগরে গত সোমবার সভা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সোমবার তারই ‘জবাবি’ সভা করেন শুভেন্দু। ছবি: ফেসবুক।

আবার তারিখ দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে এ বার সরকারের ‘হয়ে’। আগেভাগেই পঞ্চায়েত ভোটের দিন জানিয়ে দিলেন তিনি। সোমবার খেজুরির ঠাকুরনগরের সভা থেকে শুভেন্দু দাবি করলেন, আগামী ২ মে পঞ্চায়েত ভোট করাতে চায় তৃণমূল সরকার। এবং সেটা হবে এক দফায়। কেন এক দফায় ভোট করাতে চায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল, তার কারণও তাঁর জানা বলে দাবি করলেন শুভেন্দু।

Advertisement

ঠাকুরনগরে গত সোমবার সভা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সোমবার তারই ‘জবাবি’ সভা করেন শুভেন্দু। সেই সভায় শুভেন্দু বলেন, ‘‘আগামী ২ মে পঞ্চায়েত ভোট করাবে (রাজ্য সরকার)। সব খবর থাকে আমার কাছে। একটা ফেজ়ে (দফা) ভোট করাবে। এবং পুলিশ দিয়ে ভোট করাতে চাইছে। যাতে রক্তগঙ্গা বওয়াতে পারে, তার ব্যবস্থা করছে।’’

২০২৩ সালেই পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোট হওয়ার কথা। তবে সেটা কবে এবং কোন মাসে, তার কোনও আভাস মেলেনি শাসকদলের তরফে। সেখানে বিরোধী দলনেতার এই আগেভাগে তারিখ ঘোষণাকে ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করা হচ্ছে। অনেকে বলছেন, আসলে শুভেন্দু চান, যাতে ওই দিনে ভোট না হয়। তাই জন্য আগেভাগে তারিখটি ঘোষণা করে রাখলেন। যদি ওইদিনেই ভোট হয়, তা হলে তিনি এটা বলতে পারবেন যে, তাঁর কাছে প্রশাসনের অন্দরের খবরও থাকে। আর না হলে এবং একাধিক দিনে ভোট হলে তাঁরই সুবিধা।

Advertisement

প্রসঙ্গত, এর আগেও রাজ্য রাজনীতিতে ‘তারিখ রাজনীতি’ করেছিলেন শুভেন্দু। গত বছর মোট তিনটি তারিখ দিয়েছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক — ১২, ১৪ এবং ২১ ডিসেম্বর। তখন সদ্য গুজরাত ভোটের ফল ঘোষণা হয়েছে। বিজেপির জয়ে ‘উচ্ছ্বসিত’ শুভেন্দু বাংলাতেও ডিসেম্বরে ‘ধমাকা’র ইঙ্গিত দেন। যা নিয়ে তাঁর দলের মধ্যেও কৌতূহল তৈরি হয়েছিল। কিন্তু রাজনীতিতে কোনও তরঙ্গ না তুলেই সেই সব তারিখ পার হয়ে যায়। বিজেপির জন্য ওই তিনটি তারিখে ‘লাভজনক’ কিছু না ঘটায় ‘বিরক্ত’ হন শুভেন্দুর সতীর্থরাও। তখনই শুভেন্দুর ‘তারিখ রাজনীতি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। শাসক দলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, ‘‘ডিসেম্বরে বিয়ের তারিখ ছাড়া আর কিছু নেই।’’ শুভেন্দুকে খোঁচা দিয়ে টুইট-বাণ ছোড়েন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। শুভেন্দু যে তিনটি তারিখ বলেছিলেন, তার মধ্যে ১৪ ডিসেম্বর আসানসোলে বিজেপির কম্বল বিতরণ কর্মসূচিতে কম্বল নেওয়ার সময় পদপিষ্ট হয়ে মারা যান ৩ জন। অভিষেক ‘আশঙ্কা’ প্রকাশ করে লিখেছিলেন, ‘’২১ ডিসেম্বর এর চেয়েও খারাপ কিছু ঘটবে না তো?’’

পরে অবশ্য শুভেন্দু নিজেই তারিখ-রহস্য শেষ করেন। তিনি জানান, রাজ্যে সরকার ফেলা বা ওই রকম কিছুর ইঙ্গিত দেননি তিনি। বরং নিয়োগ দুর্নীতিতে শাসক দলের নেতাদের নাম জড়ানো, তাঁদের জেলযাত্রার সম্ভাবনার কথা বলেছিলেন। নতুন ইংরেজি বছর শুরু হয়ে গিয়েছে। সামনে বাংলার নতুন বছর। ইংরেজি বছরে তারিখ মেলেনি। বাংলা বছরে মেলে কি না, তার দিকেই সাগ্রহে তাকিয়ে বাংলা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement