সায়ন্তন বসু। —ফাইল চিত্র
‘পুলিশ এবং সমাজ বিরোধী এই দুই স্তম্ভের উপর ভর করে দাঁড়িয়ে আছে তৃণমূল। পুরভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হলে বিজেপি জয়ী হবে’। রবিবার এগরায় বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে এসে এমনই মন্তব্য করলেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু।
কলকাতা পুরসভার নির্বাচনের কয়েকদিনের মধ্যে এগরা পুরসভাতেও নির্বাচন রয়েছে। এগরা পুরসভায় তৃণমূলের শক্তিশালী সংগঠনে বিরোধীরা সে ভাবে দাগ কাটতে পারেনি। কিন্তু লোকসভা ভোটে তৃণমূলের সেই সংগঠন অনেকটাই দুর্বল হয়েছে। তৃণমূলের দখলে থাকা এগরা পুরসভা এলাকাতেই ভোটের নিরিখে তৃণমূলের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। পুরসভার ১৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১২টিতে বাম ও তৃণমূলকে পিছনে ফেলে প্রথম স্থানে রয়েছে তারা। মেদিনীপুর লোকসভার মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা পুরসভাকে পাখির চোখ করছে বঙ্গ বিজেপি। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নির্বাচনী এলাকা এগরা পুরসভা দখলে মরিয়া বিজেপি। রবিবার এগরায় দলের নেতা-কর্মীদের পুরভোটের সেই রণকৌশলই বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন সায়ন্তন। এ দিন তাজপুরে দলীয় বৈঠক শেষে এগরা হটনাগর মন্দির সংলগ্ন গেস্ট হাউসে সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যে তৃণমূলের নিজস্ব সংগঠন নেই। পুলিশ এবং সমাজবিরোধীদের নিয়ে তৃণমূল ক্ষমতায় রয়েছে। আগামী দিনে পুরভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হলে বিজেপি এগরা পুরসভা-সহ রাজ্যে কয়েকটি পুরসভায় জয়ী হবে। তৃণমূল যতই লম্ফঝম্প করুক, লোকসভা ভোটের মতোই তাদের দূরবস্থা হবে।’’ তৃণমূলকে কটাক্ষ করে সায়ন্তন বলেন, ‘‘লোকসভায় ওরা বিয়াল্লিশে বিয়াল্লিশ পাবে বলেছিল। মানুষ ওদের যোগ্য জবাব দিয়েছে। পুরভোটেও এর পুনরাবৃত্তি হবে। মানুষ তৈরি জবাব দিতে।’’ বৈঠক শেষে কাঁথিতে দলীয় বৈঠকে যোগ দেন সায়ন্তন। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী, জেলা পর্যবেক্ষক মলয় সিনহা, এগরা শহর মণ্ডল সভাপতি স্বাধীন দাস প্রমুখ।
সায়ন্তন বসুর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এগরা শহর তৃণমূল সভাপতি জয়ন্ত সাহু বলেন, ‘‘উন্নয়ন নিয়ে আমরা মানুষের পাশে আছি। যাদের পায়ের তলার মাটি নেই তাদের বক্তব্যের কোনও গুরুত্ব নেই। আগামী দিনে এগরার মানুষ বিজেপিকে যোগ্য জবাব দেবে।’’