পোস্টারে সামনে এল দ্বন্দ্ব

এদিন বাসস্ট্যান্ড, স্টেশন রোড, হাইস্কুল পাড়া, শিবমন্দির, ব্লক অফিস চত্বর- সহ বাজার এলাকায় সাঁটানো এই পোস্টার চোখে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের। কম্পিউটার প্রিন্ট আউটে শমিত-  সহ আরও কয়েকজন পদাধিকারীকে ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ বলে তাঁদের পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চন্দ্রকোনা রোড শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ০১:১৭
Share:

সেই পোস্টার। নিজস্ব চিত্র

বিজেপির মণ্ডল সভাপতি নির্বাচন নিয়ে দলের অন্দরে ক্ষোভ ছিলই। আগে কেশপুরে বিজেপির পশ্চিম মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী অন্তরা ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছিল। এ বার বাদ গেলেন না বিজেপির আরেক সাংগঠনিক জেলার সভাপতিও। ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শমিত দাস –সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার পোস্টার পড়ল চন্দ্রকোনা রোডের একাধিক জায়গায়।

Advertisement

এদিন বাসস্ট্যান্ড, স্টেশন রোড, হাইস্কুল পাড়া, শিবমন্দির, ব্লক অফিস চত্বর- সহ বাজার এলাকায় সাঁটানো এই পোস্টার চোখে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের। কম্পিউটার প্রিন্ট আউটে শমিত- সহ আরও কয়েকজন পদাধিকারীকে ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ বলে তাঁদের পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে। বিজেপি অবশ্য জানিয়েছে, এই পোস্টারের নেপথ্যে তৃণমূলের মদত রয়েছে। অভিযোগ মানতে নারাজ শাসক দল।

পোস্টারে পদ্মফুল চিহ্ন দিয়ে চন্দ্রকোনা রোড পশ্চিম মণ্ডলের বিজেপি কর্মীবৃন্দের আবেদন লিখে দলের নেতাদেরই বিরুদ্ধে বিষোদগার করা হয়েছে। পোস্টারে নাম রয়েছে মণ্ডল সভাপতি হরেরাম সিংহ, জেলা সভাপতি শমিত দাস, জেলা সহ সভাপতি রাজীব কুণ্ডু, জেলা সম্পাদক মদন রুইদাসদের। দলীয় নেতাদের তোলাবাজি, তৃণমূলের সঙ্গে যোগসাজশ সহ নানা কেলেঙ্কারির কথা তুলে ধরা হয়েছে পোস্টারে।

Advertisement

চন্দ্রকোনা রোডে বিজেপির অন্তর্কলহ নতুন কিছু নয়। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকমাস আগে দলীয় কার্যালয়েই মারামারিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন কয়েকজন নেতাকর্মী। এমনকি, কিছুদিন আগে গেরুয়া শিবিরের কর্মীদের মধ্যে প্রকাশ্যে মারামারির ঘটনাও ঘটেছিল চন্দ্রকোনা রোড ব্লক অফিসের সামনে। বিহিত চাইতে তখন দু’পক্ষই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। গত ২৮ নভেম্বর যেদিন উপনির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়, সেদিনই রাতে রাস্তার উপর হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন দুই গোষ্ঠীর নেতাকর্মীরা।

পোস্টারে উল্লিখিত হরেরাম, মদন, প্রত্যেকেই পোস্টারের পিছনে তৃণমূলের মদত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। রাজীব বলেন, ‘‘চন্দ্রকোনা রোড পশ্চিম মণ্ডলের নতুন কার্যালয় ৭ ডিসেম্বর উদ্বোধন হবে। সেখানে ২ হাজার কর্মীর সম্মেলন হবে। এতেই রাগ, হিংসা বাড়ছে তৃণমূলের। চক্রান্ত করে পোস্টার দেওয়াচ্ছে।’’ বিজেপির জেলা সভাপতি শমিতের কথায়, ‘‘তৃণমূলের প্ররোচনা ও তাদের প্ল্যানে এইসব নোংরামি হচ্ছে। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে দেখে নেওয়া হবে পোস্টার কারা লাগিয়েছে। এসব ফালতু বিষয়, এনিয়ে মাথা ঘামাতে চাই না।’’ তৃণমূলের চন্দ্রকোনা রোড ব্লকের কার্যকরী সভাপতি রাজীব ঘোষ বলেন, ‘‘বিজেপির নেতারা কেমন দুর্নীতিগ্রস্ত, কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত তা চন্দ্রকোনা রোডের মানুষ ভালোভাবেই জানেন। এখন ঝুলি থেকে বেড়াল বেরিয়ে পড়েছে। তাই অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে। পোস্টার কাণ্ডে তৃণমূলের কোনও মদত নেই। তৃণমূল এসব কাজকে ঘৃণা করে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement