বামেদের সমর্থনে অমৃতবেড়িয়ায় পঞ্চায়েত দখল করল বিজেপি। —নিজস্ব চিত্র।
বিজেপিকে হটাতে জাতীয় স্তরে ‘দোস্তি’ হয়েছে তৃণমূল এবং বামেদের মধ্যে। এ দিকে, রাজ্যে বিভিন্ন জায়গায় শাসক তৃণমূলকে ঠেকাতে পঞ্চায়েত দখলে বিজেপির সঙ্গেই হাত মেলাচ্ছেন জয়ী বাম সদস্যেরা। নদিয়ার কৃষ্ণনগর এবং মুর্শিদাবাদের সুতির পর পূর্ব মেদিনীপুরেও ফিরে এল সমবায় ভোটের সেই ‘নন্দকুমার মডেল’। মহিষাদলে ত্রিশঙ্কু জটে আটকে থাকা অমৃতবেড়িয়া পঞ্চায়েত দখলে বিজেপির দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন এক জয়ী বাম সদস্য। এ নিয়ে বামেদের কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না শাসকদল।
অমৃতবেড়িয়ায় ১৮টি আসনের মধ্যে আটটি করে আসনে জেতে তৃণমূল ও বিজেপি। বাকি দু’টি আসনে জেতে সিপিএম। এই পরিস্থিতিতে বুধবার পঞ্চায়েতের এক বাম সদস্য বুলু প্রসাদ বোর্ড গঠনের সময় বিজেপিকে সমর্থন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। আর বাম সদস্য ভোটদান থেকে বিরত ছিলেন। বিজেপিকে সমর্থন দেওয়া নিয়ে বুলু বলেন, ‘‘ইন্ডিয়া জোটে কী হবে, তা উপর তলার নেতারা বুঝবেন। তবে এলাকার কর্মী ও নেতাদের ইচ্ছেকে প্রাধান্য দিতেই আমি বিজেপিকে সমর্থন দিয়েছি।’’
আস্থা ভোটে জিতে অমৃতবে়ড়িয়া পঞ্চায়েতের প্রধান হিসাবে নির্বাচিত হন বিজেপির শুভ্রা পণ্ডা এবং উপপ্রধান হন পরেশ পাণিগ্রাহী। শুভ্রা বলেন, ‘‘এলাকায় দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত গড়ার বার্তা দিতেই আমরা লড়াইয়ে নেমেছিলাম। আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে বাম সদস্য সমর্থন জানিয়েছেন। এর জন্য আমরা আন্তরিক ভাবে ওঁদের কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আগামী দিনে এলাকার উন্নয়নে আমরা সব রকম ভাবে কাজ করব।’’
পঞ্চায়েতে ‘রাম-বাম’ জোট নিয়ে কটাক্ষ করেছেন মহিষাদলের তৃণমূল বিধায়ক তিলককুমার চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘‘এই কারণেই রাজ্যে সিপিএম বিলুপ্তপ্রায়। রামের দলের বেশির ভাগটাই বামেদের থেকে গিয়েছে। জেলা ও রাজ্য নেতৃত্ব যতই বলুন, নিচুতলায় রামেদের সঙ্গে বামের সখ্য থাকবেই। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিজেপিকে সরানোর প্রশ্নে সবাই একজোট হলেও আমরা ধরেই নিয়েছি, বাংলা। সিপিএম বিজেপিকে প্রচ্ছন্ন সমর্থন দিয়েই যাবে। এর ফলে আগামী দিনে বামেদের অস্তিত্ব থাকবে না।’’