Midnapore BJP

শহরে এগিয়ে পদ্ম, ঘরে ঘরে মোদী-চিঠি  

মোদী-চিঠির গোড়াতেই ‘ভারত মাতা কি জয়’ লিখে বার্তা দেওয়া হয়েছে, ‘আমি, নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদী, আপনাদের সকলকে জানাই গৈরিক অভিনন্দন।

Advertisement

বরুণ দে

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২৪ ০৮:২০
Share:

এই চিঠিই বিলি করা হচ্ছে বিজেপির তরফে। নিজস্ব চিত্র।

মেদিনীপুর লোকসভায় এ বার তৃণমূল জিতেছে। তবে মেদিনীপুর শহরে তারা পিছিয়ে। জেলার সদর শহরে ২৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৫টিতেই ‘লিড’ বিজেপির। সেই আবহেই শহরে বাড়ি বাড়ি মোদী-চিঠি বিলি করেছেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। শুভেচ্ছা জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে এক বাক্স লাড্ডুও।

Advertisement

এ বার রাজ্য জুড়েই শহর এলাকায় ভাল ফল করেছে বিজেপি। বেশিরভাগ পুরসভাতেই তারা এগিয়ে। পশ্চিম মেদিনীপুরেও ৭টি পুরসভার মধ্যে ৬টিতেই এগিয়ে বিজেপি। তবে মোদীর চিঠি ও মিষ্টি বিলি হচ্ছে শুধু মেদিনীপুরেই। রাজনৈতিক মহলের অনুমান, তৃণমূল বিধায়ক জুন মালিয়া সাংসদ হওয়ায় মেদিনীপুরে বিধানসভার উপ-নির্বাচন আসন্ন। সেই অঙ্কেই বিজেপির এই কর্মসূচি।

মেদিনীপুর শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ড দিয়ে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে। লোকসভার ফলের নিরিখে এই ওয়ার্ডে তৃণমূলের থেকে প্রায় সাড়ে ছ’শো ভোটে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। ওয়ার্ডের সাতটি বুথের সবক’টিতে এগিয়ে তারা। স্থানীয় বিজেপি নেত্রী কুহেলি দত্ত বলেন, ‘‘লোকসভা ভোটের আগে বাড়ি বাড়ি গিয়েছি। ওয়ার্ডের মানুষ আমাদের সমর্থন করেছেন। তাই এখন কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’’ কুহেলি গত পুরভোটে প্রার্থী হয়ে হেরেছিলেন তৃণমূলের ইন্দ্রজিৎ পানিগ্রাহীর কাছে। পুর-প্রতিনিধি ইন্দ্রজিতের ব্যাখ্যা, ‘‘লোকসভার প্রেক্ষাপট ভিন্ন। কিন্তু বিধানসভা বা পুরসভা ভোটে আমরাই এগিয়ে থাকি।’’

Advertisement

মোদী-চিঠির গোড়াতেই ‘ভারত মাতা কি জয়’ লিখে বার্তা দেওয়া হয়েছে, ‘আমি, নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদী, আপনাদের সকলকে জানাই গৈরিক অভিনন্দন। লোকসভা নির্বাচনে আপনারা ৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ভারতীয় জনতা পার্টি সমর্থিত অগ্নিমিত্রা পালকে দু’হাত ভরে আশীর্বাদ করেছেন। আপনাদের এই জাতীয়তাবাদী এবং রাষ্ট্রবাদী সমর্থনের জন্য আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আশা করি ভবিষ্যতেও আপনারা আমাদের সরকারের পাশে থাকবেন।’ শেষে লেখা, ‘বিনীত, প্রধান সেবক, নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদী।’ সব ওয়ার্ডেই এই কর্মসূচি হবে বলে বিজেপি সূত্রে খবর। গত বার মেদিনীপুরের সাংসদ ছিলেন দিলীপ ঘোষ। এ বার আসনটি পুনরুদ্ধার করেছে তৃণমূল। জুন মালিয়া ২৭ হাজারের কিছু বেশি ভোটে জিতেছেন। তবে তাঁর নিজের বিধানসভা থেকে তিনি কেন কম ‘লিড’ পেলেন, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। একুশে ২৪,৩০০ ভোটে জিতেছিলেন জুন। দু’বছর আগে পুরভোটেও শহরের ২৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছিল ২০টি, সিপিএম ৩টি, কংগ্রেস ১টি, নির্দল ১টি। লোকসভা ভোটের আগে নির্দল পুর-প্রতিনিধি তৃণমূলে যোগ দেন। লোকসভায় মেদিনীপুর বিধানসভা থেকে তৃণমূলের ‘লিড’ ২,১৭০ ভোটের। কিন্তু মেদিনীপুর শহরে বিজেপির থেকে প্রায় ৫,১০০ ভোটে তৃণমূল পিছিয়ে রয়েছে। তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক প্রদ্যোত ঘোষের অবশ্য বক্তব্য, ‘‘উপ-নির্বাচনে শহরে আমাদের ভোট পুনরুদ্ধার করতে পারব বলেই আশাবাদী।’’ তৃণমূল পুরপ্রধান সৌমেন খান বলেন, ‘‘কেন বিধানসভার ভোট ধরে রাখতে পারলাম না, তার বিশ্লেষণ হচ্ছে।’’ জেলা বিজেপির মুখপাত্র অরূপ দাসের খোঁচা, ‘‘অবাধ নির্বাচন হলে, তৃণমূল কোথাও দাঁড়াতে পারবে না!’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement