BJP

নবান্ন অভিযানে জেলায় ভাল সাড়া, দাবি বিজেপি-র

বিজেপি’র তমলুক সাংগঠনিক জেলার যুব মোর্চার সভাপতি প্রতীক পাখিরা বলেন, ‘‘পূর্ব মেদিনীপুরের মানুষ তৃণমূলের শাসন থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পাঁশকুড়া শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২০ ০২:১৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে জেলায় শাসকদলকে নিজেদের অস্তিত্ব বুঝিয়েছিল গেরুয়া শিবির। বৃহস্পতিবার বিজেপি’র যুব মোর্চার নবান্ন অভিযানে পূর্ব মেদিনীপুর যে পরিমাণে বাস এবং গাড়ি কলকাতায় গিয়েছে, তাতে দেখে উচ্ছ্বসিত বিজেপি’র জেলা নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, প্রায় শতাধিক বাসে স্বতঃস্ফুর্ত ভাবেই কর্মী-সমর্থকেরা ওই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন। যদিও বাস মালিকদের সংগঠনের দাবি, ওই কর্মসূচিতে বাস গিয়েছে মেরেকেটে ৪০টি।

Advertisement

বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযানে পূর্ব মেদিনীপুর থেকে ১২০টি বাস এবং অন্তত ৫০টি ছোট গাড়িতে করে বিজেপি’র কর্মী সমর্থকেরা কলকাতা গিয়েছেন বলে বিজেপি’র দাবি। দলীয় সূত্রের খবর, ভোর ৩টে থেকে পর পর গাড়ি ছাড়তে শুরু করে জেলা থেকে। ওই সব গাড়িতে এ দিন ১০ হাজারেরও বেশি কর্মী-সমর্থক নবান্ন অভিযানে যোগ দিয়েছেন বলে বিজেপির দাবি।

বিজেপি’র তমলুক সাংগঠনিক জেলার যুব মোর্চার সভাপতি প্রতীক পাখিরা বলেন, ‘‘পূর্ব মেদিনীপুরের মানুষ তৃণমূলের শাসন থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে। এ দিন নবান্ন অভিযানে যেভাবে কর্মী- সমর্থকেরা সক্রিয় যোগদান করেছেন, এটা তারই ইঙ্গিত। জেলার বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ আমাদের গাড়ি আটকেছিল। সমস্ত বাধা অতিক্রম করেও আমরা সাঁতরাগাছির মিছিল যোগ দিতে পেরেছিলাম।’’

Advertisement

বিজেপি নেতত্ব বিপুল সংখ্যক বাস কলকাতায় যাওয়ার দাবি করলেও জেলা বাস মালিকদের সংঠন কিন্তু বলছে অন্য কথা। ‘পূর্ব মেদিনীপুর ডিস্ট্রিক্ট বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনে’র সাধারণ সম্পাদক সুকুমার বেরা বলেন, ‘‘জেলা থেকে মেরেকেটে ৪০টি বাস গিয়েছিল। তার মধ্যে রুটের বাস ছিল ২২টি। দু’তিন দিন আগে বাসগুলি বুক করা হয়েছিল।’’ বিজেপি’র দাবি নস্যাৎ করেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি শিশির অধিকারীও। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি’র নবান্ন অভিযান কর্মসূচি তো ফ্লপ হয়েছে। পুলিশ এবং প্রশাসন সূত্রের যে তথ্য আমরা পেয়েছি, তাতে আদৌও বিজেপি’র এত বাস বা লোক কর্মসূচিতে যায়নি। বিজেপি সব কিছু অতি রঞ্জিত করে বলছে।’’

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ১৬টি আসনের মধ্যে ১৩টিতে জয়ী হয় তৃনমূল। তিনটি যায় সিপিএমের দখলে। তখনও জেলায় বিজেপির সংগঠন সেভাবে মজবুত হয়নি। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি জেলায় একটিও আসন না পেলেও পরিবর্তনের গড়ে ব্যাপক ভোট কমে শাসক দলের। প্রধান বিরোধী হিসেবে জেলায় উঠে আসে বিজেপির নাম। তারপর থেকে জেলায় নিজেদের মাটি শক্ত করার চেষ্টা করছে বিজেপি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলাকে পাখির চোখ করে বিজেপির একাধিক রাজ্য নেতৃত্ব পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বৈঠক, মিছিল, জনসভাতেও যোগ দিতে আসতে শুরু করেছেন। এ দিেনর নবান্ন অভিযানে জেলা থেকে কর্মী-সমর্থকদের কেমন সাড়া মিলছে, সে দিকে বাড়তি নজর ছিল জেলা নেতৃত্বের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement