প্রতীকী চিত্র।
রাজনৈতিক কারণেই গেরুয়া শিবিরের প্রস্তাবিত অফিস তৈরির অনুমোদন দিতে গড়িমসি করা হচ্ছে। হলদিয়া পুরসভার বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগে সরব হয়েছে শিল্প শহরের গেরুয়া শিবির।
হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জমি পেয়েছে হলদিয়া-কলকাতা পোর্ট অ্যান্ড শ্রমিক ইউনিয়ন। বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, হলদিয়া টাউনশিপের চকতাড়োয়ান মৌজায় ওই জমি দেওয়া হয়েছে। ৩০ বছরের জন্য ৪০০ বর্গমিটার আয়তেনর ওই জমি লিজ দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের ৪ জুলাই জমি পাওয়ার পরই নিজেদের অফিস তৈরির কাজ শুরু করে হলদিয়া-কলকাতা পোর্ট অ্যান্ড ডক শ্রমিক ইউনিয়ন। অভিযোগ, নির্মাণ কাজ শুরু হতে না হতেই পুরসভা কাজে বাধা দেয়। পুরসভার দাবি, ওই জমি হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষের হলেও অফিস ভবন নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা ও তার অনুমোদন নিতে হবে তাদের কাছ থেকে। সেইমতো শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে অফিস তৈরির জন্য আবেদন করা হয় পুরসভার কাছে। এরপর বেশ কয়েক মাস কেটে গেলেও সেই আবেদনে সিলমোহর দেয়নি তৃণমূল পরিচালিত হলদিয়া পুরবোর্ড। আর এখানেই রাজনীতির অভিযোগ তুলেছে ওই শ্রমিক ইউনিয়ন।
এই শ্রমিক সংগঠন ভারতীয় মজদুর সংঘ (বিএমএস) সমর্থিত। বিএমএসের জেলা কার্যকরী সভাপতি প্রদীপ কুমার বিজলী বলেন, ‘‘এই প্রথম নয়, আগে এমন ঘটনা ঘটেছে। কলকাতায় গেরুয়া শিবিরের কোনও সভা, অনুষ্ঠান করতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অনুমোদন দেওয়া হত না। বাধ্য হয়ে আদালতে গিয়ে অনুমোদনের ব্যবস্থা করতে হত। এখানেই একই পন্থা নিয়েছে শাসক দল। কিন্তু লাভ হবে না।’’ তিনি জানান, এখানে আইএনটিটিইউসি-র এখনও কোনও স্থায়ী অফিস নেই। তাই এই জায়গায় বন্দরের কাছ থেকে জমি পেয়ে বিএমএস অফিস তৈরি করছে, এটা তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ডের সহ্য হচ্ছে না। ইচ্ছা করেই তারা অফিস তৈরির অনুমোদন দিতে গড়িমসি করছে।
সূত্রের খবর, উপযুক্ত নথিপত্র থাকা সত্ত্বেও হলদিয়া কলকাতা পোর্ট অ্যান্ড ডক শ্রমিক সংগঠনের ওই অফিস তৈরির অনুমতি দিতে গড়িমসি করছে এই অভিযোগে গত ২৬ নভেম্বর বিএমএস সমর্থিত ওই শ্রমিক সংগঠনের তরফে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ বিষয়ে পুরপ্রধান শ্যামল কুমার আদক বলেন, ‘‘জমির চরিত্র সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিয়ে ওই সংগঠন আবেদন করেনি। যেহেতু বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন তাই এই নিয়ে এর বেশি কিছু মন্তব্য করব না।’’