ভাঙচুর হওয়া বিশ্বজিতের গাড়ি। নিজস্ব চিত্র
গত কয়েমাস ধরে সরগরম রয়েছে খেজুরির রাজনীতি। কখনও বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষের উপস্থিতিতে এলাকায় ছড়িয়েছে উত্তেজনা। কখনও একে অন্যের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করেছে তৃণমূল-বিজেপি। ওই তালিকায় নয়া সংযোজন হল শুক্রবার। তৃণমূল করার ‘অপরাধে’ খেজুরি-১ ব্লকের তৃণমূল অঞ্চল কমিটির সদস্য বিশ্বজিৎ বেরার বাড়িতে গভীর রাতে হামলা এবং তার গাড়ি ভাঙচুর করে পুকুরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপি’র বিরুদ্ধে। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
স্থানীয় সূত্রের খবর, বীরবন্দরের কাখুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ বেরা এলাকায় সক্রিয় তৃণমূল কর্মী হিসাবেই পরিচিত। বিশ্বজিতের দাবি, শুক্রবার তাঁর গাড়ি নিয়ে ছোট ভাই সুজিত বেরা কাজে বেরিয়েছিলেন। বীরবন্দর বাজারের কাছে বিজেপি আশ্রিত কয়েকজন দুষ্কৃতী সুজিতকে ঘিরে ধরে এবং মারধর করে বলে অভিযোগ। পরে ওই রাতেই ফের বিজেপি’র আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বিশ্বজিতের বাড়িতে চড়াও হয়। অভিযোগ, ভাঙচুর করা হয়ে বাড়িতে। গাড়িটি ভেঙে জলে ফেলে দেওয়া হয় বলে দাবি। বিশ্বজিৎ অবশ্য সে সময় বাড়িতে ছিলেন না।
শনিবার হেঁড়িয়া থানায় ওই ঘটনার বিবরণ দিয়ে মোট ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন বিশ্বজিৎ। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপির দুষ্কৃতীরা আমার বাড়িতে ঢুকে, আমার খোঁজ করেছিল। আমাকে না পেয়ে ভাই ও বাড়ির মহিলাদের গালাগালি দেয়। যাওয়ার সময় বাড়ির টালি ভাঙচুর করে, বাড়ির সামনে রাখা আমার গাড়ি ভাঙচুর করে পুকুরে ফেলে দেয়।’’ পাশাপাশি, পুলিশি নিষ্ক্রিতারও অভিযোগ করে বিশ্বজিৎ। তাঁর দাবি, ঘটনার পরেই টেলিফোনে বিষয়টি হেঁড়িয়া পুলিশকে জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু একজন ভিলেজ পুলিশকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে পুলিশ দায় সারে তাঁর অভিযোগ।
বিজেপি অবশ্য বিশ্বজিতের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিজেপি’র খেজুরি-২ মণ্ডল সভাপতি শুভ্রাংশু দাস বলেন, “খেজুরিতে তৃণমূলের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে। তাই নিজেরাই নিজেদের গাড়ি ভাঙচুর করে মাটি খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। ওই ঘটনার সঙ্গে বিজেপি যুক্ত নয়।’’ পুলিশ জানিয়েছে, বিশ্বজিতের অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।