ঘটনাস্থলে পুলিশ। নিজস্ব ছবি।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে বোমাবাজির ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা কেন্দ্রের গোকুলনগর এলাকায় তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ওই তৃণমূল নেতাকে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়েছে। ঘটনাচক্রে, তৃণমূলের যে বুথ সভাপতির বাড়িতে বোমা ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে, তিনি গত ১০ নভেম্বর শহিদ দিবসের মঞ্চে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় শুভেন্দু-সহ ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। যদিও বোমাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই নন্দীগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশও। স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে শাসকদলের বুথ সভাপতি স্বপনকুমার করের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। ছোড়া হয়েছে চার-পাঁচটি বোমা। বিকট শব্দে এলাকা কেঁপে উঠলে ছুটে আসেন স্থানীয়েরা। অভিযোগ, স্থানীয় বিজেপি নেতাদের মদতেই এই হামলা চালানো হয়েছে। পুলিশের কাছে দায়ের হওয়া অভিযোগে কয়েক জন বিজেপি নেতার নামও রয়েছে বলেই খবর পুলিশ সূত্রে।
স্বপনের বাবা জহরলাল করের অভিযোগ, “গত ১০ নভেম্বর গোকুলনগরে শহিদ দিবসের মঞ্চে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সেই ঘটনায় আমার ছেলে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছিল বিজেপির বিরুদ্ধে। তারই প্রতিশোধ নিতে গতকাল গভীর রাতে বিজেপির লোকেরা হামলা চালান।’’
এই ঘটনায় বিজেপির নন্দীগ্রাম বিধানসভা কমিটির সদস্য বিজন দাসের পাল্টা দাবি, “বিজেপির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমরা কখনও বোমা নিয়ে রাজনীতি করি না। ওঁদের ঘরেই কোন্দল, আর ওঁরা বিজেপিকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। নন্দীগ্রামে সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল। এখানে বিরোধী দলের লোকেদের উপর হামলা হয়েই চলেছে। মিথ্যে মামলা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এখন বোমাবাজির গল্প তৈরি করে বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলতে চাইছে।”