প্রতীকী ছবি।
তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিল লালবাজারের সাইবার ক্রাইম শাখা। আর তারপরেই ঝুলন্ত দেহ মিলেছে খড়্গপুরের বছর আঠাশের যুবক বিশ্বজিৎ বসুর। অনুমান, এটি আত্মহত্যা। কিন্তু কী অপরাধে ছেলেকে ডেকে পাঠিয়েছিল লালবাজার? তার জেরেই কি বিশ্বজিৎ এমন চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল? এই সব প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে বিশ্বজিতের পরিজনেদের মনে। জবাব খুঁজতে তাই তাঁরা লালবাজারে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বুধবার রাতে অন্ত্যেষ্টি হয়েছে খড়্গপুরের দীনেশনগরের বাসিন্দা বিশ্বজিতের। ছেলের মৃত্যু রহস্য উদ্ঘাটন হোক চাইছেন পরিজনেরা। মৃত যুবকের মা পুষ্পদেবী বলেন, “আমি চাই মেজছেলের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সামনে আসুক। কেন ওকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল তা জানতে আমরা নিশ্চয়ই লালবাজার যাব।” দাদার মৃত্যুর সঙ্গে লালবাজার থেকে আসা সমনের যোগ আছে কিনা, সেই প্রশ্ন ভাবাচ্ছে শুভজিৎকেও। তিনি বলেন, “এখন মনে হচ্ছে দাদা সে দিন লালবাজারে গেলে হয়তো ওকে আর মরতে হত না। কী এমন করেছিল দাদা যে ওকে লালবাজারে ডেকে পাঠিয়েছিল, সেটা যেতে কয়েকদিনের মধ্যে লালবাজারে যেতেই হবে।”
বুধবার বাড়িতেই উদ্ধার হয় বিশ্বজিতের ঝুলন্ত দেহ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, অবসাদে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই যুবক। পরিবারের দাবি, গত ২৪ জুলাই লালবাজারের সাইবার ক্রাইম শাখা সমন দিয়ে বিশ্বজিৎকে ডেকে পাঠিয়েছিল। তারপর ২৫ জুলাই সকালে কলকাতা রওনা দেন বিশ্বজিৎ। তারপরে জেঠতুতো ভাই দীপান বসুর কথামতো লালবাজারে না গিয়ে ফের খড়্গপুরে ফিরে আসেন তিনি। তারপর থেকে তিনি যথেষ্ট উদ্বিগ্ন ছিলেন। পরিজনেদের অনেকেই বলছেন, চাপা স্বভাবের ছেলে ছিল বিশ্বজিৎ। অবসরে নিজের স্মার্টফোনে ডুবে থাকতেন। সেই সূত্রেই সাইবার জগতে অঘটন ঘটেছে কি না সেটাই ভাবাচ্ছে মৃত যুবকের পরিবারকে। লালবাজারের পুলিশ কর্তারা অবশ্য গোটা ঘটনায় মুখে কুলুপ এঁটেছেন।