(ইনসেটে) বিশ্বজিৎ কারক। নিজস্ব চিত্র
রাজ্য সশস্ত্র পুলিশের পঞ্চম ব্যাটেলিয়নের কনস্টেবল বিশ্বজিৎ কারকের দেহ গ্রামের বাড়িতে এল শনিবার সন্ধ্যায়। শুক্রবার মহাকরণে কর্মরত অবস্থায় নিজের সার্ভিস রিভলবারের গুলিতে মৃত্যু হয় তাঁর।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছিল, আত্মহত্যা করেছেন ওই পুলিশ কর্মী। তবে তারপরেও বিশ্বজিতের এই মৃত্যু নিয়ে নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল তাঁর পরিবার-পরিজন-ঘনিষ্ঠদের মধ্যে। এ দিন সন্ধ্যায় দাসপুরের শ্রীবরা গ্রামে পৌঁছনোর পরে ছেলের মৃতদেহ দেখে বাবা গোপাল কারক বললেন, “ছেলেটা কর্মরত অবস্থায় মরল কী করে! আমি সত্যিটা জানতে চাই।”
মৃতের বাড়ির সামনে শনিবার সকাল থেকেই গ্রামের মানুষের ভিড় ছিল। সন্ধ্যায় ভিড় আরও বাড়ে। গ্রামের শান্ত স্বভাবের ছেলেটিকে শেষ দেখা দেখতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। দেহ বাড়ির সামনে কিছুক্ষণ রাখার পরে সৎকার করা হয়।
বছর খানেক ধরে স্ত্রী মণিমালা ও আড়াই বছরের সন্তান অর্কদ্যুতিকে নিয়ে কলকাতায় ফ্ল্যাটে থাকতেন বিশ্বজিৎ। গ্রামের বাড়িতে কম আসতেন। মা মীরাও কলকাতায় ছেলের কাছেই থাকতেন।