বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান মেদিনীপুরেই

জেলার সেরা পুজোগুলোকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্যই এই সম্মান। ইতিমধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুরের ‘বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান’ ঘোষিত হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০১৭ ০১:৩৫
Share:

আর শুধু কলকাতা নয়, এ বার জেলায় হবে ‘বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান’ প্রদান অনুষ্ঠান। সেই মতো সব আয়োজনও শুরু হয়েছে। পরশু, বৃহস্পতিবার মেদিনীপুরে এই অনুষ্ঠান হবে। জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণের শহিদ ক্ষুদিরাম পরিকল্পনা ভবনের সভাঘরে এই অনুষ্ঠান হবে। উপস্থিত থাকবেন জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা, জেলা পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ প্রমুখ। জেলার সাংসদ- বিধায়কদেরও অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের তথ্য-সংস্কৃতি আধিকারিক অনন্যা মজুমদার বলেন, “এ বার বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান মেদিনীপুরে হবে। সেই মতো সব প্রস্তুতি সারা হচ্ছে।’’ শারদ সম্মানের মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হবে। থাকবে নাচ-গানের আয়োজন।

Advertisement

জেলার সেরা পুজোগুলোকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্যই এই সম্মান। ইতিমধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুরের ‘বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান’ ঘোষিত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে তিনটি ক্ষেত্রে পুরস্কার দেওয়া হয়— সেরা পুজো, সেরা প্রতিমা এবং সেরা মণ্ডপ। জেলার সেরা পুজো হয়েছে আমলাশুলি সর্বজনীন, তালবাগিচা নেতাজি ব্যায়ামাগার সর্বজনীন এবং গোলসাই লালসাগর সর্বজনীন। সেরা প্রতিমার পুরস্কার পাচ্ছে সঙ্ঘশ্রী সর্বজনীন, গোলকুয়াচক সর্বজনীন এবং পাঁচবেড়িয়া সানরাইজ ক্লাব ও গ্রামবাসীবৃন্দ সর্বজনীন। সেরা মণ্ডপের পুরস্কার পাচ্ছে হুমগড় সর্বজনীন, প্রেমবাজার সর্বজনীন এবং হরিশপুর দ্য ফ্রেন্ডস্ ক্লাব সর্বজনীন। সম্মান প্রাপকেরা স্মারকের পাশাপাশি আর্থিক পুরস্কারও পাবেন। বৃহস্পতিবারের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য এই ন’টি পুজো কমিটিকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। প্রতিটি পুজো কমিটির ১০ জন করে সদস্য অনুষ্ঠানে থাকতে পারবেন।

আগে শুধু কলকাতাতেই এই অনুষ্ঠান হত। উৎসব-অনুষ্ঠানকে জেলায় জেলায় ছড়িয়ে দেওয়ার ভাবনা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কলকাতায় বিসর্জনের কার্নিভাল হয়। আগামী বছর থেকে এই কার্নিভ্যাল জেলায় জেলায় হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি ঝাড়গ্রাম সফরে এসে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘দুর্গাপুজোর কার্নিভাল গত দু’বছর ধরে আমরা করছি। এটা কলকাতায় হয়। এ বার আমরা জেলায় জেলায় কার্নিভাল করব।’’ অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ ফুটবলের প্রচারও জেলায় পৌঁছে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর নির্দেশে, জেলা জুড়ে তোরণ, হোর্ডিং হয়েছে। সদর শহর মেদিনীপুরে তো রেপ্লিকাও বসানো হয়েছে। ঝাড়গ্রাম সফরে এসে সেই প্রচার দেখে আপ্লুত মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘‘যখন আনন্দটা করতে হয়, আনন্দটা ভাগ করে নিতে হয়। সকলে মিলে আনন্দ করলেই ভাল লাগে।’’

Advertisement

প্রশাসনেরও মত, মেদিনীপুরে শারদ সম্মানের অনুষ্ঠান এক অন্য মাত্রা যোগ করবে। অনুষ্ঠান বেশ ঝলমলেই হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement