শ্রদ্ধা বীরসিংহে। ছবি: কৌশিক সাঁতরা
বীরসিংহের মানুষ চেয়েছিলেন, করোনা পরিস্থিতিতে ছোট করে হলেও বিদ্যাসাগরের জন্মের দ্বিশতবর্ষ পূর্তির সমাপ্তি অনুষ্ঠানটা যেন হয়। সব সংশয় ও টানাপড়েন মিটিয়ে শনিবার ঘটা করেই ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মবার্ষিকী উৎসবের সমাপ্তি উৎসবের সূচনা হল। শেষ হবে ২৯ সেপ্টেম্বর। এ দিন বীরসিংহ স্মৃতি মন্দিরে এসে বিদ্যাসাগরের মূর্তিতে মালা দিয়েছেন বিজেপি নেতারাও।
শনিবার সরকারি অনুষ্ঠানের সূচনা করেন জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, জেলাশাসক রশ্মি কমল। ছিলেন জেলা সভাধিপতি উত্তরা সিংহ, সহ-সভাধিপতি অজিত মাইতি, পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার, ঘাটালের মহকুমাশাসক অসীম পাল, বিধায়ক শঙ্কর দোলই প্রমুখ। বিজেপির সবর্ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক রাহুল সিংহের বীরসিংহে আসার কথা থাকলেও তিনি আসেননি। তবে দলের রাজ্য সম্পাদক নীলাঞ্জন অধিকারী, ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অন্তরা ভট্টচার্যেরা বীরসিংহ স্মৃতি মন্দিরে এসে বিদ্যাসাগরের মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। অন্তরা বলেন “রাহুলদা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাই আসতে পারেননি।” সন্ধ্যায় সেখানে যান সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতো।
সিংহশিশুর গ্রামে অনুন্নয়ন নিয়ে ক্ষোভ ছিল। তা প্রকাশ্যে আসার পরেই সেখানে দ্রুত উন্নয়নের কাজ শুরু হয়। গত এক বছরে অনেক কিছুই পেয়েছে বীরসিংহ। বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রীসভায় বীরসিংহ উন্নয়ন পর্ষদের প্রস্তাবও পাশ হয়ে গিয়েছে। এ দিন সমাপ্তি অনুষ্ঠানে এসে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত প্রকল্পগুলি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। তাঁরা জানান, এ বার থেকে বীরসিংহ উন্নয়ন পর্ষদের মাধ্যমেই গ্রামটির সার্বিক উন্নয়নের কাজ শুরু হবে। শান্তিনিকেতনের আদলে গড়া হবে বিদ্যাসাগরের গ্রামকে। সেখানে এডুকেশন হাব, বাস টার্মিনাস, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা কেন্দ্র, গেস্ট হাউস এক এক করে সবই হবে। তৈরি হবে কর্মসংস্থানের সুযোগ। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক রশ্মি কমল বলেন, “বীরসিংহ উন্নয়ন পর্ষদ মন্ত্রীসভায় পাশ হয়ে গিয়েছে। খুব দ্রুত বাকি উন্নয়নের কাজ শুরু হবে।” মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের দাবি, দু’বছরের মধ্যেই বীরসিংহ গ্রাম পযর্টন মানচিত্রে আলাদা জায়গা করে নেবে।