তৎপরতা: ফের খাটানো হচ্ছে তাঁবু। বেলপাহাড়িতে। নিজস্ব চিত্র।
চারপাশে গাছগাছালি। তার মাঝে আরামদায়ক তাঁবুতে রাত্রিবাস। বেলপাহাড়িতে বন দফতরের উদ্যোগে তাঁবুতে পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা চালু হয়েছিল। নাম দেওয়া হয়েছিল ‘বেলপাহাড়ি জঙ্গল ক্যাম্প’। ৮ মাস বন্ধ থাকার পর শীতের মরসুমে সরকারি উদ্যোগে বেলপাহাড়িতে ফের পর্যটকদের জন্য চালু হচ্ছে তাঁবুতে রাত্রিবাসের ব্যবস্থা। ঝাড়গ্রামের ডিএফও শেখ ফরিদ বলেন, ‘‘আগামী সোমবার থেকে তাঁবুগুলি চালু হচ্ছে। সে জন্য প্রস্ততি চলছে।’’
২০১৯ সালে শীতেই বেলপাহাড়ি রেঞ্জ অফিস চত্বরে পর্যটকদের জন্য পাঁচটি তাঁবু চালু করেছিল বন দফতর। ২০২০ সালে করোনা আবহে বছরের গোড়ায় তাঁবুগুলি খুলে নেওয়া হয়। পরিস্থিতির পরিবর্তন হওয়ায় গত বছর ডিসেম্বরে ফের পাঁচটি তাঁবু খাটানো হয়েছিল। কিন্তু কয়েক মাস যেতেই করোনার সংক্রমণ বাড়ে। ফলে চলতি বছরে মার্চ থেকে ফের তা বন্ধ হয়ে যায়। বন দফতরের উদ্যোগে এই তাঁবুর জন্য খরচ হয়েছিল ১৫ লক্ষ টাকা। প্রতিটি তাঁবুতে দু’জন করে থাকতে পারবেন। তাঁবুগুলির সঙ্গে রয়েছে শৌচাগার। প্রাঙ্গণে গাছগাছালির মাঝে বসার ব্যবস্থাও রয়েছে। জিএসটি-সহ প্রতি তাঁবুর ভাড়া ১৩৪৪ টাকা। খাওয়াদাওয়ার খরচ আলাদা। পর্যটকেরা গাড়ি নিয়ে এলে পার্কিংয়ের ব্যবস্থাও রয়েছে।
পর্যটন দফতর স্বীকৃতি ঝাড়গ্রাম টুরিজ়িম সংস্থার কর্ণধার সুমিত দত্ত বলেন, ‘‘গ্রামীণ হোম স্টে ও রিসর্টের পাশাপাশি জঙ্গলের মাঝে তাঁবুতে রাত্রিযাপন করতে অনেকে পছন্দ করেন। ফের তাঁবু চালু হচ্ছে এটা খুবই সুখবর।’’ সরকারির পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগে বেলপাহাড়ির অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র ঢাঙ্গিকুসুমে পাহাড়ি এলাকায় তাঁবু চালু করেছেন একটি হোম স্টে কর্তৃপক্ষ। ওই হোম স্টের কর্ণধার দেবশ্রী পাত্র বলেন, ‘‘চারটি তাঁবুতে কমপক্ষে ১২জন থাকতে পারবেন। শীত পড়তেই তাঁবুতে থাকার চাহিদা বাড়ছে।’’ বেলপাহাড়ির পাশাপাশি ঝাড়গ্রাম ব্লকের গ্রামীণ এলাকাতেও চালু হয়েছে তাঁবু। ঝাড়গ্রামে লাউখপরাতে একটি রিসর্টে চারটি, বাঁশতলায় চারটি, নকাটে তিনটি তাঁবু চালু হয়েছে। ঝাড়গ্রাম হোটেল ওনার্স ওয়েলফেয়ার অস্যোসিয়েশনের সম্পাদক মধুসূদন কর্মকার বলেন, ‘‘ঝাড়গ্রামে প্রচুর পর্যটক আসছেন। জায়গা দেওয়া যাচ্ছে না পর্যটকদের। অনেকেই তাঁবুতে থাকতে পছন্দ করেন। বন দফতর তাঁবু চালু করার ফলে পর্যটকরা আরও থাকার সুবিধা পাবেন। বেসরকারি ভাবে বেলপাহাড়িতে আরও এক পর্যটন ব্যবসায়ী তাঁবু চালু করছেন।’’