আবর্জনা পরিষ্কারের জন্য আনান হয়েছে জেসিবি মেশিন। নিজস্ব চিত্র
মাসের পর মাস ধরে জমছিল হাসপাতালের পিছনে আবর্জনার স্তূপ। পুর প্রশাসনকে তা সাফাই করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল জেলা প্রশাসন। সেই মতো মেচগ্রামের বড়মা করোনা হাসপাতালের আবর্জনা বৃহস্পতিবার থেকে পরিষ্কার শুরু করল পাঁশকুড়া পুরসভা।
গত এপ্রিল থেকে থেকে বড়মা হাসপাতালে সরকারি উদ্যোগে শুরু হয় করোনা চিকিৎসা। এরপর থেকে ওই হাসপাতালের গুরুত্ব অনেকটাই বেড়ে যায়। হাসপাতালের রোগীদের এঁটো খাবারের কাগজের থালা, জলের বোতল-সহ নানা ধরনের বর্জ্য সংগ্রহ কে করবে তা নিয়ে শুরু হয় চিন্তাভাবনা। সেই চিন্তাভাবনার মধ্যেই দীর্ঘদিন ধরে বর্জ্য জমে থেকে দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে হাসপাতালে। এর পরে হাসপাতালটি পুর এলাকার মধ্যে না হলেও পাঁশকুড়া পুরসভাকেই বর্জ্য সংগ্রহের দায়িত্ব দেয় জেলা প্রশাসন। কিন্তু পুরসভার সাফাইকর্মী কম থাকায় তাদের পক্ষে হাসপাতাল থেকে নিয়মিত বর্জ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হবে কি না, সে নিয়েই সংশয় দেখা দিয়েছিল।
শেষমেশ এ দিন পুরসভা জেসিবি মেশিন নিয়ে গেয়ে শুরু করেছে সাফাই কাজ। এই কাজ দু’দিন ধরে চলবে বলে জানিয়েছে পুরসভা। পাঁশকুড়ার পুরপ্রধান নন্দকুমার মিশ্র বলেন, ‘‘আমরা এ দিন থেকে বড়মা হাসপাতালের বর্জ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছি। সপ্তাহে দু'দিন করে এই দায়িত্ব পালন করব। সাফাইকর্মী যথা সম্ভব কম রেখে জেসিবি মেশিন দিয়ে তোলা বর্জ্য পুরসভার নোংরা ফেলার গাড়িতে করে তা নির্দিষ্ট জায়গায় জমা করা হবে। কোভিড পরিস্থিতিতে পুরসভা প্রশাসনকে সমস্ত রকম সাহায্য করবে।’’
পুরসভাকে ধনবাদ জানিয়ে বড়মা হাসপাতালের টেকনিক্যাল অফিসার দেবোপম হাজরা বলেন, ‘‘পুর কর্তৃপক্ষ বলেছিলেন পুজোর পর থেকে বর্জ্য সংগ্রহের কাজ তাঁরা শুরু করবেন। ওঁরা কথা রেখেছেন। যেহেতু এটা করোনা হাসপাতাল, তাই আমরা বর্জ্য সংগ্রহের ব্যাপারে ওঁদের কিছু গাইডলাইন দিয়েছিলাম। সেই গাইডলাইন মেনে কাজ হচ্ছে।’’