—নিজস্ব চিত্র।
অবসাদের কারণে আত্মঘাতী হতে চেয়েছিলেন প্রবীণ। ঝাঁপ দিতে চেয়েছিলেন ট্রেনের সামনে। পুলিশের তৎপরতায় প্রাণ বাঁচল সেই বৃদ্ধার। ঝাড়গ্রামের ঘটনা।
শুক্রবার দুপুর তখন প্রায় ২টো। ঝাড়গ্রাম কন্ট্রোল রুমে কর্মরত হোমগার্ড দুরা টুডু পুলিশ লাইন থেকে ডাক নিয়ে যাচ্ছিলেন। রেল লাইনের অপর প্রান্তে দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁর সহকর্মী হোমগার্ড হরিশচন্দ্র মাহাতো। হরিশের হাতে ডাকগুলি তুলে দিয়ে ফিরে আসার কথা ছিল দুরার। হঠাৎই ডাক আদানপ্রদানের সময় এক প্রবীণা দুরাকে জিজ্ঞেস করেন, “আপ লাইনে কখন ট্রেন রয়েছে?” উত্তর না পেয়ে স্বল্প সময়ের ব্যবধানে বেশ কয়েক বার একই প্রশ্ন করেন ওই মহিলা। সন্দেহ হয় দুরাদের। ফিরে না গিয়ে মহিলার উপর নজর রাখতে থাকেন তাঁরা। হঠাৎ একটা মালগাড়ি আসতে দেখে ওই মহিলা লাইনের দিকে দৌড়তে থাকেন। বুঝতে দেরি হয়নি দুরার। দৌড়ে গিয়ে মহিলাকে লাইনে থেকে সরিয়ে নিয়ে যান তিনি।
এর পর কন্ট্রোল রুমে খবর দেন দুরা। পরে জিআরপি এসে সেই মহিলাকে তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেয়। পরিবার সূত্রের খবর, অসুস্থতা এবং মানসিক অবসাদের কারণে রেল লাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হতে চেয়েছিলেন ওই বৃদ্ধা। দুরা এবং হরিশের তৎপরতায় প্রাণ বাঁচে তাঁর। দুরা এবং হরিশকে ঝাড়গ্রাম পুলিশ লাইনে সংবর্ধনা জানানো হয়। তাঁদের হাতে শংসাপত্র এবং পুরস্কার তুলে দেন ঝাড়গ্রাম পুলিশ জেলার সুপার অরিজিৎ সিংহ।