Jhargram Super Speciality Hospital

আই ড্রপের বদলে বৃদ্ধার চোখে পড়ল পেটখারাপের ওষুধ! কাঠগড়ায় ঝাড়গ্রাম হাসপাতাল

চোখের চিকিৎসা করাতে গিয়ে বিপাকে বৃদ্ধা। চোখের ড্রপের বদলে তাঁর চোখে পড়ল শিশুদের পেটখারাপের ওষুধ। অভিযোগের তির ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের দিকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০২৪ ১৪:৩৪
Share:

অভিযোগপত্র হাতে নিয়ে অভিযোগকারিণী বৃদ্ধা। —নিজস্ব চিত্র

চোখের ড্রপের বদলে বৃদ্ধার চোখে পড়ল শিশুদের পেটখারাপের ওষুধ! কাঠগড়ায় ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল। অভিযোগ জানিয়ে হাসপাতালের সুপার এবং ঝাড়গ্রামের জেলাশাসককে চিঠি দিয়েছেন ওই বৃদ্ধা। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সুপারের বক্তব্য, কার ভুলে এই ঘটনা ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

ঝাড়গ্রাম শহরের এক নম্বর ওয়ার্ডের কদমকাননের শিরীষচক এলাকার বাসিন্দা হাসি দাস। ষাট বছরের এই বৃদ্ধা দীর্ঘ দিন ধরেই চোখের সমস্যায় ভুগছেন। তাঁর বয়ান মোতাবেক, গত ১৩ জুন তিনি ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজে চোখের চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন। হাসপাতাল থেকে হাসিকে দু’টি চোখের ড্রপ দেওয়া হয়। অভিযোগ, একটি ড্রপ লাগানোর পরেই তাঁর চোখ জ্বালা করতে শুরু করে। ১৯ জুন ফের হাসপাতালে যান হাসি। বৃদ্ধার দাবি, ওই দিন চিকিৎসক তাঁকে অন্য ওষুধ লিখে দিয়ে আগের ওষুধগুলি ব্যবহার করতে বারণ করেন। কিন্তু ওষুধের দোকানে পুরনো ওষুধগুলি দেখালে হাসিকে বলা হয় সেগুলি শিশুদের পেটব্যথা কমানোর ওষুধ।

হাসির আরও অভিযোগ, হাসপাতালে অভিযোগ জানানোর জন্য যে ড্রপ বাক্স রয়েছে, সেখানে চিঠি দিয়েও কর্তৃপক্ষের তরফে তিনি কোনও সদুত্তর পাননি। হাসপাতালের কর্মীরা ওই চিঠি ফেলতে তাঁকে প্রথমে বাধা দেন বলেও অভিযোগ হাসির। হাসপাতালের সুপারের কাছ থেকে কোনও জবাব না পেয়ে গত ১০ জুলাই জেলাশাসককে চিঠি দেন বৃদ্ধা।

Advertisement

এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের সুপার অনুরূপ পাখিরা এই প্রসঙ্গে বলেন, “একটা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কার ভুল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, দোষী প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “ওই বৃদ্ধার সঙ্গে কথা হয়েছে। উনি চোখে দেখতে পাচ্ছেন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement