লক্ষ্মণপুরে প্রাথমিক স্কুলের সামনে পড়ে থাকা দাঁতালের দেহ দেখতে ভিড়। — নিজস্ব চিত্র।
মৃত্যু হল পূর্ণবয়স্ক একটি দাঁতালের। রবিবার সকালে হাতিটির দেহ দেখতে পান ঝাড়গ্রামের লালগড়ের লক্ষ্মণপুরের বাসিন্দারা। কী কারণে হাতিটির মৃত্যু হল তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। বিষয়টির তদন্ত করছে বন দফতর।
রবিবার সকালে লালগড়ের লক্ষ্মণপুর গ্ৰামের প্রাথমিক স্কুলের সামনে দাঁতাল হাতিটিকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। ওই এলাকাটি লালগড় রেঞ্জের ভাউদি বিট অফিসের আওতায়। হাতির দেহ দেখে স্থানীয় বাসিন্দাদের ভিড় জমে যায় ওই এলাকায়। হাতিটির বিশাল আকারের দাঁত রয়েছে। অবশ্য তা অক্ষতই রয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বন দফতরের কর্মীরাও। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ জানিয়েছেন, ওই হাতিটির দাঁত অন্যান্য হাতির তুলনায় অনেক লম্বা।
বন দফতর সূত্রে অবশ্য জানা গিয়েছে, মৃত হাতিটির দাঁত এখনও মাপা হয়নি। বনকর্মীদের মতে, হাতিটির আনুমানিক বয়স ২৫। একটি হাতির পালের দলপতি ছিল ওই দাঁতাল। তার মৃত্যু ঘিরে ঘনিয়েছে রহস্য। হাতিটি অসুস্থতার জন্য মারা গিয়েছে না কি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত। লালগড়ের রেঞ্জার শ্রাবণী দে বলেন, ‘‘লক্ষ্মণপুরের জঙ্গলে একটি দাঁতালের মৃত্যু হয়েছে। কী কারণে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে তা জানতে ময়নাতদন্ত করা হবে।’’
জেলা বিভাগীয় বনাধিকারিক সন্দীপ কুমার বেরওয়াল জানিয়েছেন, লক্ষ্মণপুর গ্রামের চাষের জমি থেকে একটি দাঁতাল হাতির দেহ উদ্ধার হয়েছে। হাতিটির দেহে ময়নাতদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।