Abduction Case

অপহরণে অভিযুক্ত প্রাক্তন প্রধানের ছেলে

গত ১১ এপ্রিল টিউশনে যাবে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় দেভোগ পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা এক নাবালিকা। খোঁজ না মেলায় নাবালিকার পরিবারের তরফে ওই দিনই ভবানীপুর থানায় লিখিত  অভিযোগ করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হলদিয়া শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২৩ ০৮:০৫
Share:

এক নাবালিকাকে অপহরণের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের এক  প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলের বিরুদ্ধে। প্রতীকী ছবি।

এক নাবালিকাকে অপহরণের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের এক প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলের বিরুদ্ধে। ভবানীপুর থানা এলাকার ওই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে যে, তৃণমূলের নেত্রী ছেলে হওয়ায় পুলিশ নিষ্ক্রিয় রয়েছে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রের খবর, গত ১১ এপ্রিল টিউশনে যাবে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় দেভোগ পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা ওই নাবালিকা। খোঁজ না মেলায় নাবালিকার পরিবারের তরফে ওই দিনই ভবানীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করে। নাবালিকার বাবার অভিযোগ, তার মেয়েকে দেভোগ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান উমারানি বেতাল, তাঁর ছেলে অনির্বাণ এবং স্বামী অপহরণ করেছে। অনির্বাণই ওই নাবালিকাকে টিউশন পড়তে যাওয়ার সময় রাস্তা থেকে ভুল বুঝিয়ে অপহরণ করে বলে দাবি।

সপ্তাহখানেক কেটে গেলেও নাবালিকার সন্ধান মেলেনি। ভবানীপুর থানার পদক্ষেপে সন্তুষ্ট না হয়ে হলদিয়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রাহুল পান্ডের কাছে থানার বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করা হয়েছে পরিবারের তরফে। নাবালিকার বাবা বলেন, ‘‘অভিযুক্তরা তৃণমূল নেত্রীর পরিবারের সদস্য। সেই জন্য পুলিশ আমার মেয়েকে উদ্ধারের জন্য কোনও পদক্ষেপ করছে না। সাত দিন ধরে শুনে আসছি, মেয়েকে কালই আনা হব। থানার কাজে সন্তুষ্ট না হয়ে মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের কাছে অভিযোগ করেছি।’’

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, অপহরণের মামলার রুজু করা হয়েছে। নাবালিকা এবং প্রাক্তনের প্রধানের ছেলেও নাবালক বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে। মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রাহুল পান্ডে বলেন, ‘‘পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ ভিত্তিহীন। পুলিশ চেষ্টা করছে যাতে দ্রুত নাবালিকাকে উদ্ধার করা যায়। নাবালক ও নাবালিকা পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হছে।’’ আর তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে দেভোগ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান উমারানি বেতাল বলেন, ‘‘আমার ছেলেও নাবালক। শুক্রবারে ছেলের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। বাড়ি ফিরে আসতে বলেছি। ওরা কোথায় রয়েছে, তা বলছে না। ভবানীপুর থানার পুলিশ আমাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement