সমুদ্রস্নানে বাধা। নিজস্ব চিত্র।
মহরমের ছুটিতে দিঘার হোটেলে হোটেলে ভিড় পর্যটকদের। কিন্তু ছুটির আনন্দে ব্যাঘাত ঘটাল নিম্নচাপ এবং কটালের জোড়া প্রভাব। মঙ্গলবার সকাল থেকে দফায় বৃষ্টির চলছে ঝোড়ো হাওয়া। উত্তাল সমুদ্র। এই অবস্থায় সমুদ্রস্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি করল প্রশাসন।
উপকূলে ঘনীভূত হয়েছে নিম্নচাপ। তার উপর আসন্ন পূর্ণিমার ভরা কটালের জন্য ভাটার সময়েও জল আছড়ে পড়ছে সৈকত-সরণির পাথুরে দেওয়ালে। এই পরিস্থিতিতে সমুদ্রস্নানে নামলে যে কোনও মুহূর্তে ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা। তাই প্রশাসনের কড়া নজরদারি শুরু হয়েছে। মাইকিং করে সমুদ্র থেকে উঠে আসতে বলা হয় পর্যটকদের।
পর্যটকদের একটা বড় অংশ সমুদ্রস্নানে নামার জন্য উদগ্রীব থাকলেও প্রশাসনের কড়াকড়িতে জলে পা দেওয়ারও সুযোগ মিলছে না। নজরদারি এড়িয়ে কোনও পর্যটক জলে নামতে গেলেই হুইসেল বাজিয়ে ছুটে আসছেন নুলিয়া ও পুলিশের দল।
দিঘা থানা সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে ওল্ড দিঘা ও নিউ দিঘার সমস্ত ঘাটে আঁটসাঁট করা হয়েছে নজরদারি। নুলিয়া, সিভিক ভলান্টিয়ার, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এবং পুলিশকর্মীরা প্রতিনিয়ত সৈকতে নজরদারি চালাচ্ছেন। চলছে সচেতনতা মূলক প্রচারও। গত রবিবারই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভরা সমুদ্রে স্নানে নেমে ওল্ড দিঘার একটি ঘাটের কাছে প্রাণ হারিয়েছেন টালিগঞ্জের এক বাসিন্দা। এমন দুর্ঘটনা যাতে আর না ঘটে, তার জন্য সতর্কদৃষ্টি প্রশাসনের।