ধর্ষণে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। প্রতীকী ছবি।
আবারও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ। আবারও আঙুল এক তৃণমূল নেতার দিকে। এ বার ঘটনাস্থল পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা। প্রতিবন্ধীকে এক মহিলাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। পিংলা থানার কালুখারা গ্রামের এই ঘটনা ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
নির্যাতিতাকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা করাতে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার বিকেলে হাসপাতালে নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষার পর তাঁর মা কোতোয়ালি থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ জানান। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্য অভিজিৎ মণ্ডলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।
নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগ, সোমবার কালুখারা গ্রামে তাঁর দিদির বাড়িতে গিয়েছিলেন মেয়ে। রাতে খাওয়ার পর বাসন ধোয়ার জন্য পুকুরে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকেই তাঁকে তুলে নিয়ে যায় অভিযুক্ত। মারধরের পর তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকি, স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে তৃণমূলের লোকেরা বাধা দেয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তাই বাধ্য হয়ে মেদিনীপুর মেডিক্যালে নিয়ে যান মেয়েকে।
এ নিয়ে ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা বিজেপি-র সভাপতি তন্ময় দাস বলেন, ‘‘প্রতিবন্ধী মহিলাকে ধর্ষণ করার পাশাপাশি মারধর করেছে। ভয় দেখানো হচ্ছে তাদের। পুলিশ অভিযোগ নিতে চায়নি।’’
তবে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শেখ সবরতির দাবি, মিথ্যে অভিযোগ করছে বিজেপি। ওই এলাকায় একটি পুজোর অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে গন্ডগোল হয়েছিল। সেই ঘটনাকে অন্য ভাবে দেখিয়ে তৃণমূলকে দোষারোপ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁর।
রাজ্যের মন্ত্রী তথা সবংয়ের বিধায়ক মানস ভুঁইয়া এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আইন আইনের পথে চলবে।’’