চলছে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।
বন্ধ হয়ে যাওয়া বিএসএনএলের কারখানা থেকে চুরি যাচ্ছে মজুত সরঞ্জাম। কর্মীরা বাধা দিলে মারধর করছে দুষ্কৃতীরা। বদলির নির্দেশ এলেও কার্যকর করা হচ্ছে না। এমনই নানা অভিযোগে বুধবার সকাল থেকে খড়্গপুরের নিমপুরা রাখাজঙ্গল এলাকার ওই কারখানায় অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেছেন কর্মীরা।
বিক্ষোভকারীদের পাশে দাঁড়িয়েছে ন্যাশনাল ফেডারেশন অব টেলিকম এমপ্লয়িজ ও বিএসএনএল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন নামে দু’টি সংগঠন। তাদের দাবি, ওই কারখানায় মজুত থাকা কোটি-কোটি টাকার সরঞ্জাম গত কয়েকমাস ধরে লাগাতার চুরি হচ্ছে। বাধা দিতে গেলে কর্মীদের কারখানার বাইরে ও ভিতরে মারধর করছে দুষ্কৃতীরা। কারখানা কর্তৃপক্ষ সব জেনেও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ন্যাশনাল ফেডারেশন অব টেলিকম এমপ্লয়িজের ওই কারখানা শাখার সম্পাদক শেখ খাদিম বলেন, “আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার বদলির আর্জি জানাচ্ছি। কিন্তু বদলির নির্দেশ সত্ত্বেও ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আমাদের ছাড়ছেন না। এখন কার্যত নিরাপত্তাকর্মীর কাজ করতে হচ্ছে আমাদের। দুষ্কৃতীরা চুরি করতে এসে আমাদের মারধর করছে।’’ বিএসএনএল এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের মুস্তাক বেগ, অভিজিৎ থাপাদের দাবি, ‘‘আমাদের মতো টেকনিশিয়ানদের সরঞ্জাম পাহারা দিতে বলছে কর্তৃপক্ষ। দিনের পর দিন কোটি কোটি টাকার সরঞ্জাম চোখের সামনে চুরি হচ্ছে।’’
জানা গিয়েছে, ওই কারখানায় একসময়ে ল্যান্ডলাইন সেট, মোডেম, বিটিএস, ফাইবার অপটিক কেবল-সহ নানা টেলিকম সরঞ্জাম তৈরি হত। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। একসময়ে ১৭৬ জন কর্মী থাকলেও ৫৫ বছর ঊর্ধ্বে বয়স এমন কর্মীরা গত কয়েক মাসে স্বেচ্ছাবসর নিয়েছেন। এখন প্রায় ৫০ জন কর্মী আছেন সেখানে। যাঁদের অধিকাংশ টেকনিশিয়ান পদে কর্মরত। গত মার্চে ওই কর্মীদের অন্যত্র বদলির নির্দেশ এলেও তা কার্যকর হয়নি। তাঁদের কারখানায় আসতে হচ্ছে। অথচ সেখানে কোনও নিরাপত্তা কর্মী নেই। মাস কয়েক আগে দু’জন গানম্যান দেওয়া হলেও তা তুলে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
ওই কারখানার দায়িত্বে থাকা অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার কার্তিকচন্দ্র মাহালি বলেন, “ইদানীং দুষ্কৃতীদের দাপট বেড়েছে এটা ঠিক। তবে আমার এই বিষয়ে বলার এক্তিয়ার নেই। আপনি আমাদের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলুন।” ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার নবলকুমার ডোঙরে ফোন ধরেননি। জবাব দেননি এসএমএসের।