সফল প্রার্থীদের নিয়োগপত্র দিতে রাত পর্যন্ত কাজ চলল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ অফিসে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের এসএমএস পেয়ে এ দিন তমলুক শহরের জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ অফিসে আসেন ৩০৭ জন সফল প্রার্থী। সকাল ১০ টা থেকে কাউন্সেলিং শুরু হয়। সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত কাউন্সেলিং চলে। রাত পর্যন্ত চলে নিয়োগপত্র দেওয়ার কাজ। জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ সভাপতি মানস দাস বলেন, ‘‘কাউন্সেলিং এবং সফলদের নিয়োগপত্র দেওয়ার কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে। তাতে অবশ্য সময় কিছুটা বেশি লেগেছে।’’
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে সফল প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ না করায় অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলে সংসদ অফিসে স্মারকলিপি দেয় এসইউসি প্রভাবিত শিক্ষক সংগঠন বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। সংগঠনের জেলা সভাপতি গোকুলচন্দ্র মুড়া বলেন, ‘‘এ ভাবে কাউকে নিয়োগপত্র দেওয়া যায় নাকি? মেধাভিত্তিক তালিকা প্রকাশ করা হল না, কে কত নম্বর পেলেন, কেউ জানলেন না। অথচ শিক্ষক নিয়োগ হয়ে গেল। পুরো প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার দাবিতে আমরা অবিলম্বে মেধা তালিকা প্রকাশের দাবি করছি।’’
সফল টেট পরীক্ষার্থীদের মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়ে কাউন্সেলিংয়ের জন্য ডাকা হচ্ছে। এই পদ্ধতির প্রতিবাদে এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সফল টেট পরীক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশের দাবিতে বিক্ষোভ ও পথ অবরোধ হল বৃহস্পতিবার। এ দিন সকালে মেদিনীপুর শহরে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ অফিসের সামনে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভে সামিল হন একাংশ সফল পরীক্ষার্থী। তাঁদের বক্তব্য, কাউন্সেলিং এর জন্য মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়ে ডেকে পাঠানো হচ্ছে। ওয়েবসাইটে সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। এতে কারও মোবাইল খারাপ থাকলে তিনিও তো জানতে পারবেন না। তাই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সফল টেট পরীক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশের দাবি জানানো হয়। বিক্ষোভকারীদের পক্ষে দীপঙ্কর হাইত, সঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়দের বক্তব্য, ‘‘স্বচ্ছ ভাবে তালিকা প্রকাশ করলেই ভাল হত।’’ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন মোট চারশো জনকে কাউন্সেলিংয়ের জন্য ডাকা হয়েছিল।