টিএমসিপির প্রতিষ্ঠা দিবসের প্রস্তুতি
TMC

সভায় ‘অদৃশ্য’ জেলা সভানেত্রী

রাজ্যের ২৩টি জেলার সভাপতিদের নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভার আয়োজন করেছিলেন টিএমসিপির রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। সেখানে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সভানেত্রী অণ্বেষা জানাকে দেখা যায়নি বলে সংগঠন সূত্রে দাবি।

Advertisement

কেশব মান্না

শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০২০ ০১:৪৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

আগামী ২৮ অগস্ট শাসকদলের ছাত্র সংগঠন টিএমসিপি-র প্রতিষ্ঠা দিবস। তার প্রস্তুতি নিয়ে মঙ্গলবার বৈঠক ডাকা হলেও সেখানে দেখা গেল না খোদ সংগঠনের জেলা সভানেত্রীকে। দলে ‘শুভেন্দু অনুগামী’ বলে পরিচিত ওই সভানেত্রীর বিরুদ্ধে অনুপস্থিতির এমন অভিযোগ ঘিরে দলের অন্দরে জল্পনা এখন তুঙ্গে।

Advertisement

প্রতিষ্ঠা দিবসের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনায় রাজ্যের ২৩টি জেলার সভাপতিদের নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভার আয়োজন করেছিলেন টিএমসিপির রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। সেখানে অন্য সব জেলা সভাপতিরা যোগ দিলেও পূর্ব মেদিনীপুর জেলার টিএমসিপি সভানেত্রী অণ্বেষা জানাকে দেখা যায়নি বলে সংগঠন সূত্রে দাবি। যদিও অণ্বেষার পাল্টা দাবি, ‘‘সভার শুরুর দিকে কিছুক্ষণ ছিলাম। পরে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না। ইন্টারনেট পরিষেবাও মেলেনি। তাই শেষ পর্যন্ত থাকতে পারিনি। তবে প্রস্তুতি দিবস উপলক্ষে যে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে, সে রকম প্রস্তুতি জেলা জুড়ে শুরু হয়েছে।’’

করোনা পরিস্থিতিতে আগামী ২৮ অগস্ট ছাত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে প্রতিটি কলেজে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পতাকা উত্তোলনের পাশাপাশি ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে কর্মসূচি নেওয়ার ব্যাপারে এ দিন প্রস্তুতি বৈঠকে নির্দেশ দেন রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর।

Advertisement

সাধারণ ভাবে জেলা সভানেত্রী শুভেন্দু শিবিরের লোক বলে পরিচিত। সম্প্রতি রাজ্য তৃণমূলের সাংগঠনিক রদবদলে জেলার নেতা ও মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী কিছুটা কোণঠাসা বলে দাবি তাঁর অনুগামীদের। দলের পর্যবেক্ষক পদ খুইয়েছেন শুভেন্দু। তার উপর রাজ্যে প্রথম তৃণমূলের সাত সদস্যের শীর্ষ কমিটির মিটিংয়েও অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। ইদানীং দলীয় এবং সরকারি কর্মসূচিতেও তাঁকে অংশ নিতে দেখা যায়নি। তা ছাড়া ইতিমধ্যেই শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ময়নার বিধায়ক সংগ্রাম দোলইকে। তারপর থেকে জেলায় তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভ বাড়তে শুরু করেছে শুভেন্দু অনুগামীদের। এমন পরিস্থিতিতে জেলার টিএমসিপি সভানেত্রীর প্রস্তুতি সভায় না থাকা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে দলের একাংশ।

প্রসঙ্গত, বছর দুয়েক আগে দীপক দাসকে সরিয়ে অণ্বেষাকে জেলা সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, তারপরে টিএমসিপির জেলা কমিটি গঠিত হয়নি। এমনকি জেলায় ছাত্র আন্দোলন সেভাবে সংগঠিত হয়নি বলেও একাধিক কলেজে টিএমসিপি-র ক্ষোভ রয়েছে। তবে এ বার প্রতিষ্ঠা দিবসের পরেই পূর্ব মেদিনীপুরে জেলা কমিটি তৈরি হতে পারে বলেই টিএমসিপির রাজ্য নেতৃত্ব সূত্রে খবর। জেলা সভাপতির অনুপস্থিতি নিয়ে সংগঠনের রাজ্য কমিটির নেতা বুবাই বসু বলেন, ‘‘সভাপতি প্রস্তুতি মিটিংয়ে সাময়িক ছিলেন। ওঁর মোবাইলে সমস্যা হওয়ায় ভার্চুয়াল মিটিং থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিলেন। তবে খুব শীঘ্রই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সংগঠনের নেতাদের নিয়ে ভার্চুয়াল মিটিং করা হবে।’’ যদিও টিএমসিপির জেলা সভাপতির এ ভাবে প্রস্তুতি মিটিং এড়িয়ে যাওয়ার ব্যাপারটি রাজ্য নেতৃত্ব ভাল চোখে দেখছে না বলে দলের একাংশ জানিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement