Suvendu Adhikari

অজিতের নিশানায় শুভেন্দু

বিজেপিতে যোগ যোগ দেওয়ার পরে প্রায় প্রতিটি সভাতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘তোলাবাজ ভাইপো’ বলে আক্রমণ করেন শুভেন্দু।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২১ ০৪:১১
Share:

পাল্টা সভা থেকে ফের শুভেন্দু অধিকারীকেই বিঁধলেন তৃণমূল নেতারা।

Advertisement

শনিবার খেজুরডাঙার মাঠে সভা করে নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে বর্তমান রাজ্য সরকারকে ‘দুর্নীতি ও তোলাবাজের সরকার’ বলে অভিযোগ করেছিলেন। তৃণমূলকে ‘প্রাইভেট কোম্পানি’ বলে কটাক্ষ করে তিনি দাবি করেছিলেন, কর্মচারী হয়ে থাকতে পারবেন না বলেই দল ছেড়েছেন। মঙ্গলবার সেই একই মাঠে দাঁড়িয়ে শুভেন্দুকে ‘সুবিধাবাদী’ বলে পাল্টা নিশানা করলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাইতি। বললেন, ‘‘উনি নাকি সম্মান পাননি বলছেন। ৩৫টি পদ সম্মান নয়। গোটা পরিবারকে পদের মালিক। আর কী চান!” দুর্নীতি প্রসঙ্গে শুভেন্দুকে বিঁধে অজিত দাবি করেন, ‘‘উনি এমন দুধ খেয়েছেন, গোটা সরটা মুখে লেগে রয়েছে। জেলে যাওয়া পছন্দ করেননি। তাই বিজেপিতে গিয়ে নিজের জেল যাওয়া আটকালেন।”

বিজেপিতে যোগ যোগ দেওয়ার পরে প্রায় প্রতিটি সভাতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘তোলাবাজ ভাইপো’ বলে আক্রমণ করেন শুভেন্দু। এ দিন ভিড়ে ঠাসা সভায় তারও পাল্টা দিয়েছে তৃণমূল। অজিতের দাবি, ‘‘তুমি তো একজন বড় তোলাবাজ। হলদিয়ার সমস্ত এজেন্সির লোকজন তিরিবিরক্ত।” এ দিন ভোটের ফল নিয়েও ভবিষ্যৎবাণী করেছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি। তাঁকে বলতে শোনা দিয়েছে, ‘‘মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়াচ্ছেন। ক্ষমতা থাকে তো দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের ৩৫টি আসনের মধ্যে একটি আসন পেয়ে দেখান উনি (পড়ুন শুভেন্দু)। জেলায় অন্তত পাঁচটি আসনে বিজেপিকে তৃতীয় স্থানে ঠেলে দেব আমরা। প্রয়োজনে চতুর্থ স্থানেও যেতে পারে।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রামে ৫০ হাজার ভোটে না হারালে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু। সেই প্রসঙ্গ টেনে অজিতের চ্যালেঞ্জ, “নন্দীগ্রাম থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৫০ হাজার ভোটে হারানো তো দূর, ২৫ হাজার ভোট পেয়ে তুমি প্রমাণ করো যে তৃণমূলের জন্য নয়, নিজের জন্য বড় হয়েছো।”

Advertisement

এ দিনর সভায় ছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল বন্দ্যোপাধ্যায়, হাওড়ার সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক দীনেন রায়,ছায়া দোলই, বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসা সুজাতা খাঁ প্রমুখ। কুণাল মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘‘দলে ক্ষোভ থাকতে পারে। সেটা দলেই মেটাতে হবে।’’ তিনি জুড়েছেন, ‘‘তৃণমূলে সবথেকে বেশি ষড়ষন্ত্রের শিকার আমি। যারা ষড়যন্ত্র করেছিল তারা এখন বিজেপিতে।’’ বিজেপির বাম ভোট চাওয়া নিয়েও কটাক্ষ করেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement