চায়ের দোকানে অন্য ভূমিকায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। — নিজস্ব চিত্র।
বড় স্টিলের থালা। তার উপরেই রাখা সদ্য ভাজা আলু ও ডিমের চপ। রাস্তার পাশের ছোট্ট এই চপের দোকান দেখেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর কনভয় থামিয়ে দিলেন। তার পর দোকানের ছোট ছোট করে কেটে রাখা কাগজেই সেই চপ তুলে দিলের সকলের হাতে। কিছু ক্ষণের মধ্যেই হাজারখানেক টাকার শুধু চপই বিক্রি হয় বুদ্ধদেব মহান্তির ওই ছোট্ট দোকান থেকে।
মঙ্গলবার বেলপাহাড়িতে কর্মসূচি ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেখান থেকে তিনি ঝাড়গ্রাম ফিরছিলেন। ফেরার পথে শিলদার কাছে মাগুরিয়া গ্রামে রাস্তার ধারে বুদ্ধদেবের চা-চপের ছোট্ট দোকান। এর পর গাড়ি থেকে নেমে সটান তিনি চলে যান চপের দোকানের ভিতরে। সেই সময় দোকান মালিক বুদ্ধদেব মহান্তি চপ ভাজছিলেন। দোকানে মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে পেয়ে অবাক হয়ে যান তিনি। দোকানে ঢুকে মুখ্যমন্ত্রী ভেজে রাখা চপ কাগজে মুড়ে তাঁর সঙ্গী এবং অন্যান্যদের দিতে শুরু করেন তিনি। সকলেই সেই চপ হাতে তুলে নেন। সেই সময় দোকানেও ছিলেন কয়েক জন। তাঁরাও মুখ্যমন্ত্রীকে উঠে দাঁড়ান। তবে তাঁদের কেউই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যেতে পারেননি। কারণ, নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে ঘিরে রেখেছিলেন। পরে চপের দোকানদার বুদ্ধদেব বলেন, ‘‘এর আগে কোনও দিন এত কাছ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে দেখিনি। সভা অনুষ্ঠানে গেলে ওঁকে দেখি। আজ এত কাছ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে খুব ভাল লাগল।’’
চপ বিলি করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। — নিজস্ব চিত্র।
বুদ্ধদেব মাগুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর দোকানে আলু এবং ডিমের চপ ছিল। সব মিলিয়ে প্রায় ১০০টি চপ বিক্রি হয়েছে। পাশাপাশি, কিছু চকোলেটও বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। বিক্রি বাবদ দেড় হাজার টাকা পেয়েছেন বলেও জানিয়েছেন বুদ্ধদেব।