Tamluk district hospital

ভর্তি নিয়ে জট, রিপোর্ট হাতে ৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করোনা রোগীর

একজন করোনা আক্রান্তকে নিয়ে এ ভাবে ঘুরে বেড়ানোয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে যেমন গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে, তেমনই অন্যান্য রোগীর পরিবারের লোকজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০২০ ১২:৫৪
Share:

করোনা আক্রান্ত ওই মহিলাকে সেফ হোমে না করোনা হাসপাতালে রাখা হবে তা নিয়ে টালবাহনার অভিযোগ উঠল। ছবি সংগৃহীত।

করোনা উপসর্গ-সহ অসুস্থ হয়ে কয়েকদিন আগে মৃত্যু হয়েছিল বৃদ্ধের। বৃদ্ধের মেয়ে-সহ পরিবারের সদস্যদের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছিল তমলুক জেলা হাসপাতালে। মঙ্গলবার দুপুরে তমলুক জেলা হাসপাতাল থেকে বৃদ্ধের মেয়ের করোনা পজ়িটিভ রিপোর্ট দেওয়া হয়। কিন্তু করোনা আক্রান্ত ওই মহিলাকে সেফ হোমে না করোনা হাসপাতালে রাখা হবে তা নিয়ে টালবাহনার অভিযোগ উঠল। আর তার জেরে আক্রান্তকে নিয়ে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে হাসপাতাল চত্বরে অপেক্ষা করতে হল পরিবারের লোকজনকে।

Advertisement

একজন করোনা আক্রান্তকে নিয়ে এ ভাবে ঘুরে বেড়ানোয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে যেমন গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে, তেমনই অন্যান্য রোগীর পরিবারের লোকজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত হাসপাতাল সুপারের হস্তক্ষেপে আক্রান্তকে ময়নার সেফ হোমে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

জেলা হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে খবর, তমলুকের উত্তর সাউতানচক এলাকার বাসিন্দা ওই মহিলার বাবা কয়েকদিন আগে অসুস্থ হয়ে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি হন। বছর সত্তরের ওই বৃদ্ধের করোনা উপসর্গ থাকায় তাঁর লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। পরে জেলা হাসপাতালেই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। মৃত্যুর দু’দিন পরে বৃদ্ধের করোনা পজ়িটিভ রিপোর্ট আসে। এরপরেই বৃদ্ধের সংস্পর্শে আসা তাঁর স্ত্রী, মেয়ে ও এক ছেলের করোনা পরীক্ষার জন্য জেলা হাসপাতালে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। মঙ্গলবার হাসপাতালের রিপোর্টে জানা যায় বৃদ্ধের মেয়ে করোনা পজ়িটিভ। সেই সময় মহিলার সঙ্গে পরিবারের তিনজন সদস্য ছিলেন। রোগী সহায়তা কেন্দ্র থেকে তাঁদের জরুরি বিভাগে যোগাযোগ করতে বলা হয়।

Advertisement

মহিলার স্বামীর অভিযোগ, ‘‘করোনা পজ়িটিভ রিপোর্ট দেখানোর পরেও আমার স্ত্রীকে কোনও করোনা হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়নি। তাঁকে বাড়িতে বা সেফ হোমে রাখতে বলা হয়। এনিয়ে বিভ্রান্তির কারণেই আমরা হাসপাতাল চত্বরে বিভিন্ন জায়গায় বসে অপেক্ষা করছিলাম। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও প্রথমে তারা গুরুত্বই দেয়নি। ফলে দুপুর একটা থেকে প্রায় তিনঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে। পরে হাসপাতাল থেকে স্ত্রীকে ময়না সেফ হোমে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। ’’

জেলা হাসপাতাল সুপার গোপাল দাস বলেন, ‘‘হাসপাতালের রোগী সহায়তা কেন্দ্র থেকে রিপোর্ট দেওয়ার সময়ে ওই রোগীর পরিবারের সদস্যদের জরুরি বিভাগে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। আক্রান্তের কোনও করোনা উপসর্গ না থাকায় তাঁকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসার পরামর্শ দেওয়া হয়। পরিবারের লোকজন তা না শুনে হাসপাতাল চত্বরে অপেক্ষা করতে থাকেন। পরে বিষয়টি জানার পরে আক্রান্তকে ময়নার সেফ হোমে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।’’

(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।

• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement