Ratha Yatra

রথের মেলায় মোমো খেয়ে একের পর এক অসুস্থ! জ্বর, পেটব্যথা নিয়ে চিকিৎসাধীন কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে

পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের ডুমুরিয়ার রথের মেলা বেশ জনপ্রিয়। সোমবার সন্ধ্যায় মেলায় ঘুরতে গিয়ে অনেকে একটি দোকান থেকে মোমো খেয়েছিলেন। অভিযোগ, তার পরেই অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

রামনগর শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৪ ২১:৪৮
Share:

রামনগরের রথের মেলা। —নিজস্ব চিত্র।

মেলায় ঘুরতে গিয়ে মোমো খেয়ে অসুস্থ একের পর এক ব্যক্তি। বমি, পেট ব্যথা-সহ আরও কিছু উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বেশ কয়েক জন। পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর থানার ঘটনা।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, রামনগরের ডুমুরিয়ার রথের মেলা বেশ জনপ্রিয়। সোমবার সন্ধ্যায় মেলায় ঘুরতে গিয়ে অনেকে একটি দোকান থেকে মোমো খেয়েছিলেন। অভিযোগ, তার পরেই অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। কারও বমি, কারও জ্বর, কেউ মাথা ঘোরার মতো সমস্যায় পড়েন। বেশ কয়েক জনকে বালিসাই বড়রাংকুয়া হাসপাতাল এবং মাজনা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। তাঁদের মধ্যে ১৪ জনের শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হয়। তাঁদের পাঠানো হয় কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, খাদ্যে বিষক্রিয়া থেকে এই সমস্যা।

রামনগরের বাসরামপুরের বাসিন্দা শশাঙ্ক বেরা বলেন, ‘‘ছ’দিন ধরে মেলা চলছিল। প্রচুর ভিড় হচ্ছিল। সেখানেই একটি নির্দিষ্ট মোমোর দোকান থেকে যাঁরা মোমো কিনে খেয়েছিলেন, তাঁদের অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।’’ তিনি জানান, তাঁর পরিচিতিও রয়েছেন অসুস্থদের তালিকায়। তবে এক দিনে নয়। গত তিন দিন ধরে অনেকে অসুস্থ হওয়ার পর জানা যায় যে, তাঁরা প্রত্যেকেই মোমো খেয়েছিলেন। শশাঙ্ক বলেন, “আমার বাড়িরই পাঁচ জন অসুস্থ। প্রথমে ওদের বড়রাংকুয়া হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে বেড না থাকায় সকলকে কাঁথিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে দ্রুত চিকিৎসা হওয়ায় সকলেই অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠেছেন।’’

Advertisement

এই ঘটনা প্রসঙ্গে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের সুপার অরূপরতন করণ বলেন, “সোমবার রাতে কাঁথি হাসপাতালের পুরুষ এবং মহিলা ওয়ার্ডে সাত জন করে মোট ১৪ জন রোগী ভর্তি হন। তাঁদের সকলেরই খাদ্যে বিষক্রিয়ার উপসর্গ ছিল। সকলের চিকিৎসা চলেছে। প্রয়োজনীয় ওষুধ, স্যালাইন দেওয়ার পর তিন জন সুস্থ হয়েছেন। তাঁদের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকিদেরও অবস্থার অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, আগামী দু’-এক দিনের মধ্যে সকলকে ছেড়ে দেওয়া হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement