ফুল্লরাকে ফুল দিয়ে স্বাগত সিপিএমের। নিজস্ব চিত্র।
দীর্ঘ আট বছর পর জামিন পেলেন নেতাই গণহত্যা মামলায় ধৃত এক মাত্র মহিলা আসামী ফুল্লরা মণ্ডল। শুক্রবার মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে ছাড়া পেয়েছেন ফুল্লরা। জেলের বাইরে তাঁকে সংবর্ধনা দেয় সিপিএম।
এক সময় অবিভক্ত মেদিনীপুরের সিপিএমের জোনাল কমিটির সদস্য পরে জেলা পরিষদেরও সদস্য ছিলেন ফুল্লরা। চলতি বছরের ১৪ মার্চ নেতাই মামলায় ফুল্লরার জামিনের বিরোধিতা করে কলকাতা হাই কোর্টে সওয়াল করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর পর খারিজও হয় জামিন। পরে অবশ্য সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং অভয় এস ওকার ডিভিশন বেঞ্চ ফুল্লরার জামিনের নির্দেশ দেয়। শুক্রবার জেলের বাইরে বেরিয়ে ফুল্লরা বলেন, ‘‘ছাড়া পেয়ে খুবই ভালো লাগছে। আদালতের নির্দেশ মেনে চলব। দল দায়িত্ব দিলে আবার দলের কাজে মনোযোগ দেব।’’ জেলার সিপিএম সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ বলেন, ‘‘মা মারা যাওয়ার সময় জামিন পাননি ফুল্লরা। প্রতিহিংসা কাজ করেছে।’’
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি লালগড়ের নেতাই গ্রামে দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে মারা যান নয় গ্রামবাসী। জখম হন ২৮ জন। এঁরা প্রত্যেকেই পুলিশের বিরুদ্ধে মিছিলে নেমেছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় স্থানীয় সিপিএম নেতা রথীন দণ্ডপাটের বাড়ি থেকে সিপিএম-আশ্রিত দুষ্কৃতীরা গুলি চালায়।
প্রথমে এই মামলার তদন্ত করে সিআইডি। পরে হাই কোর্টের নির্দেশে তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। ওই ঘটনায় সিপিএমের তৎকালীন বিনপুর জোনাল সম্পাদক অনুজ পাণ্ডে-সহ ২০ জন সিপিএম নেতা-কর্মী গ্রেফতার হন। ফুল্লরা তাঁদের মধ্যে এক জন। লালগড় থানার নেতাই গ্রামেরই বাসিন্দা ফুল্লরার থাকতেন মণ্ডলপাড়ায়। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি, ১৪৮, ১৪৯, ৩২৬, ৩০৭, ৩০২ এবং অস্ত্র আইনের ২৫/২৭ ধারায় মামলা রুজু হয়। তিনিই এক মাত্র মহিলা যাঁর নামে জোট বেঁধে অভিযোগ করেছিলেন নেতাইয়ের গ্রামবাসীরা।